‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলায় বসুন্ধরা এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ঢাকার গুলশানে এক তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত
পুলিশের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারক শহীদুল ইসলাম তা মঞ্জুর করেন।
ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের ওই তরুণীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাত দেড়টার দিকে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান।
মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহানের বিরুদ্ধে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ অভিযোগ আনা হয়।
আর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই তরুণীর সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াতও করতেন।
তবে অভিযোগের বিষয়ে সায়েম সোবহান বা বসুন্ধরা এমডির বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।
পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হাসান ফিরোজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়; পরিবার সেখানেই থাকে।
“তিনি এখানে থেকে পড়াশুনা করতেন। গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন। মাস দুয়েক আগে এক লাখ টাকায় ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সে সময় দুই মাসের ভাড়া অগ্রিম দেওয়া হয়।”
পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের সিসি ক্যামেরার ভিডিও এবং মুনিয়ার ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে বলেও নাজমুল হাসান জানান।