আত্মসমর্পণের পর কণ্ঠশিল্পী মিলার জামিন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বিয়ের তথ্য গোপন করে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রাক্তন স্বামী এস এম পারভেজ সানজারীর করা মামলায় জামিন পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ ওরফে মিলা ও তার বাবা শহীদুল ইসলাম। গতকাল বুধবার তারা আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ঢাকার অন্যতম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নুর তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদনে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস চন্দ্র দাস।
শুনানিতে তিনি বলেন, আসামিদের হয়রানি করতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১২ মে মিলার সঙ্গে বৈমানিক সানজারীর বিয়ে হয়। তার অনৈতিক কর্মকাÐে মিলা বাধা দিলে পরের বছর ৩১ জানুয়ারি তাকে তালাক দেন। তারও দুই বছর পর তিনি মামলাটি করেছেন। সুতরাং এর কোনো কার্যকরণ নাই।
আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, ১২ বছরের সম্পর্কের পর মিলা ও সানজারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর সানজারী মিলার কাছে যৌতুক দাবি করলে মিলা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা থেকে বাঁচতে এবং মিলাকে দেনমোহর থেকে বঞ্চিত করার হীন উদ্দেশ্যে বিচ্ছেদের দুই বছর পর সানজারী মামলাটি করেছেন।
এসব যুক্তি উপস্থাপন শেষে মিলার আগের সম্পর্কের বিষয়ে সানজারী জানেন দাবি করে আসামিদের জামিন মঞ্জুরের আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন। এদিকে মামলটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় নথিটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান।
‘আগের বিয়ের তথ্য’ গোপন করে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী মিলা ও তার বাবাকে গত ৬ ফেব্রæয়ারি তলব করে আদালত। মিলার সাবেক স্বামী সানজারী গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে এই মামলা করেন। ওই দিন আদালত মামলাটি পল্লবী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পল্লবী থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলামের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়েই বিচারক মিলা ও তার বাবাকে গত ৬ ফেব্রæয়ারি তলব করেছিলেন। এর আগে সানজারীর উপর এসিড ছোঁড়ার মামলায় মিলা ও তার ব্যক্তিগত সহকারী কিমকে আসামি করা হয়। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে মিলাকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু কিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। কিম কারাগারে আছেন। তবে ওই অভিযোগপত্রে বাদী সানজারী নারাজি দিয়েছেন। অন্যদিকে সানজারীর বিরুদ্ধে মিলার দায়ের করা মামলা সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।