আটরা-গিলাতলায় কার্পেটিং উঠে সড়কের বেহাল দশা, এলাকাবাসীর সুদৃষ্টি কামনা
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি
আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের প্রায়ই সব কয়টি সড়কেই কার্পেটিং উঠে যেয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গিলাতলা ৫নং ওয়ার্ডের মোল্যাপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসা সড়ক থেকে শুরু করে গিলাতলা প্রয়াত রউফ চেয়ারম্যানের বাড়ী, গাজীপাড়া সড়ক, প্রয়াত গাজী শহীদুল্লাহ সড়ক, গাজীঘাট সড়ক।
এছাড়া গিলাতলা দক্ষিণপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের মক্তবমোড় সড়কদিয়ে ১০ চাকার ট্রাকে অতিরিক্ত লোড দিয়ে প্রতিনিয়ত সিমেন্ট ও বালু নেওয়াতে এসড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক, গিলাতলা বারাকপুর খেয়াঘাট সড়কটিরও বেহালদশা। দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের প্রায় সব জায়গাতে কার্পেটিং উঠে খানা খন্দে ভরা থাকলেও রাস্তাটি সংস্কারের কোন মাথা ব্যাথা নেই কর্তৃপক্ষের, এতেকরে এই সকল সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই, বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের এই পথে চলতে প্রতি নিয়ত ভোগান্তির স্বিকার হতে হচ্ছে। নদীর অপর প্রান্ত অভয় নগরের সিদ্দিপাশা, পেরুলী, কালিয়া ও দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর, লাখোহাটি, নন্দনপ্রতাপ এলাকা থেকে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের অধিকাংশ সাদা মাছের পোনা এ সকল ঘাট দিয়ে পার হয়।
এসকল রাস্তা দিয়ে জীবন জীবিকার তাগিতে প্রায়ই ৩ শতাধিক ভ্যান চালিয়ে সংসার চলতো কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়াতে সাধারণ মানুষ এখন আর গড়ীতে উঠতে চায় না, এতে করে এসকল ভ্যান চালক শ্রমিকদের পরিবারে হতাশা নেমে এসেছে।
ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মোঃ রফিক জানান, রাস্তা খারাপ হওয়ায় আগের মত যাত্রী হয়না এঘাট দিয়ে। যাত্রী কম হওয়ায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বারাকপুর খেয়াঘাটের টোল আদায়কারী মোঃ লাভলু বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় লোক পারাপার কমেছে এসকল ঘাট দিয়ে। অন্য ঘাটদিয়ে পার হয় জনসাধারণ। গত জুন মাসে ভ্যান চালকেরা নিজেরা চাঁদা তুলে ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে খানা খন্দে ভরা সড়কটি মেরামত করলেও রাস্তাগুলির দশা আগের মত হয়ে গেছে।
গিলাতলা গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন ভ্যান চালকদের টাকায় কতটুকু মেরামত করা সম্ভব জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির? ঘাট পারাপাররত যাত্রী, ভ্যানচালক, নৌকার মাঝিসহ এলাকাবাসী এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।