আটরা-গিলাতলায় অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যার হুমকি
খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি
খানজাহান আলী থানাধীন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের অপরিকল্পিতভাবে কাঁচা ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর এবং ড্রেন নির্মাণকারীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ফুলতলা উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে (যার নং-৭৮৫ তাং-১৮/২/২০)।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত¡বধনে ৮নং ওয়ার্ডের গিলাতলা ১নং কলোনী হতে নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার পাশ দিয়ে কাঁচা ড্রেন নির্মাণ চলছে। নির্মাণ কাজে রাস্তার পাশ দিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে এসকেবেটার মেশিন দিয়ে মাটি কাটার ফলে পার্শবর্তী বাড়ীর পাকা ওয়াল, বিদ্যুতের খুটি, ইটের রাস্তা ধ্বশে পড়ার উপক্রম হওয়ায় এলাকাবাসী সুপরিকল্পিতভাবে পাকা ড্রেন নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মৌখিকভাবে দাবী জানান।
এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি উপজেলার প্রকৌশলী, উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান ফারজানা ফেরদৌস নিশাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ৫/৬টি মটরসাইকেল যোগে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ডের মেম্বর শেখ মাহমুদ হাসান, রিপন হোসেন, গাজী গিয়াসউদ্দিন, খান শরীফুল, শেখ গফফার হোসেন, মোঃ আশরাফ হোসেনসহ অজ্ঞাত ৫/৬জন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ফারজানা ফেরদৌস নিশার সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ওয়ার্ডের মেম্বর মাহমুদ হাসান অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় তাদের সাথে থাকা কতিপয় ব্যক্তি তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে ফুলতলা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ফারজানা ফেরদৌস নিশা বলেন, টেন্ডার ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোক দিয়ে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার এক কিলোমিটার কাঁচা ড্রেনের কাজ স্কেবেটার মেশিন দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটায় ৮/১০টি পাকা ওয়াল, কয়েকটি বিদ্যুতের খুটির, রাস্তাসহ বিভিন্ন ব্যাক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। এলাকাবাসীর ক্ষতিকে উপেক্ষা করে মাটি কেটে ড্রেন নয় যেন খাল খনন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ড্রেন নির্মাণের ধুয়া তুলে মাটি কেটে ট্রাক দিয়ে ১নং কলোনীর কবরস্থান ভরাট করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ এই কবরস্থান ভরাট করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্ধ আছে। দ্রæততম সময়ে পাকা ড্রেন নির্মাণ করা না হলে অনেকের পাকা ওয়াল, বিদ্যুতের খুটি, রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হবে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে কাঁচা ড্রেন নির্মান কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।