October 18, 2024
আঞ্চলিক

আজ থেকে অর্থ পাবে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা

শ্রমিকদের পর এবার কর্মকর্তারা আন্দোলনে

 

দ: প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাটকলের শ্রমিকদের জন্য বকেয়া মজুরী ও ঈদ বোনাসের জন্য দেশের ২৬টি পাটকলে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা প্রদান করেছে সরকার। এর মধ্যে ৪৪ কোটি ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা খুলনা যশোর অঞ্চলের ৯টি পাটকলের জন্য। গতকাল বুধবার বিকালে খুলনা ও যশোর অঞ্চলে ৯ পাটকলের স্ব-স্ব একাউন্টে পে-অর্ডার করেছে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন। আজ মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের এ্যকাউন্টে এ অর্থ জমা দেবেন।

এদিকে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী, উৎসব বোনাস প্রদান করা হলেও মিলের কর্মকর্তাদের ৫ মাসের বেতন ও উৎসব বোনাসের বিষয়ে বিজেএমসি কোন দপ্তারাদেশ জারি করেনি। এতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হতাশ হয়ে গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত কলম বিরতি  পালন করেছে। এ সময় ৯ মিলের কর্মকর্তরা খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সমন্বয়কারী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে এক প্রকার অবরুদ্ধ করে রাখে। বেতন ও বোনাস হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তারা কলম বিরতি ও কর্ম বিরতির হুশিয়ারী প্রদান করেছে।

বাংলাদেশ পাট শিল্প কর্মকর্তা সমিতির উদ্যোগে ৯ মিলের কর্মকর্তারা সকাল ৯টা থেকে কলম বিরতি শুরু করে। পরে সমিতির সভাপতি নন্দন দাসের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তৃতা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কালাম মল্লিক, নাজমুল কবির, মোঃ কামাল হোসেন, দিপংকর কুন্ডু, মনজুরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মানাজির রহমান, সঞ্জয় কুমার বিশ^াস, নাইমুর রহমান আশা। এ সময় তারা কর্মকর্তাদের বেতন বোনাসের দাবিতে আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের কাছে একটি স্মারক লিপি পেশ করে।

অন্যদিকে বিজেএমসি সূত্র মোতাবেক, বাংালাদেশের ২৬ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী ও ঈদ বোনাস প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে গত সোমবার দুপুরে এ বরাদ্দ ছাড় দেয়া হয়। এর মধ্যে খুলনা যশোর  অঞ্চলের ৯ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের জন্য ৪৪ কোটি ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ গতকাল বুধবার বিকালে খুলনা যশোর অঞ্চলের পাটকলের ব্যাংক একাউন্টে পৃথক পৃথক ভাবে পে-অর্ডার পাঠিয়েছে। এই অর্থের মধ্যে খালিশপুরের প্লাটিনামের ৯ কোটি ৮১ লাশ ৭৩ হাজার, ক্রিসেন্টের ১১ কোটি ৯১ হাজার, (আজ আরো তিন সপ্তাহের মজুরী আসার কথা রয়েছে), খালিশপুরের ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার, দৌলতপুরের ৫৫ লাখ ৩০ হাজার, দিঘলিয়ার ষ্টার ৭ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার, আটরা এলাকার আলীম  ২ কোটি ৬৪ লাথ ৬০ হাজার, ইর্ষ্টান ১ কোট ৪৪ লাথ ৬৫  হাজার, নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার কার্পেটিং ১ কোটি ৫৭ হাজার, জেজেআই ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এই অর্থ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে দিতে হবে বলেও শর্ত আরোপ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

 

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *