আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে মিরপুরের কালশী ফ্লাইওভার
যান চলাচলের জন্য আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে মিরপুরের কালশী ফ্লাইওভার। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালশী বালুর মাঠে এক সুধী সমাবেশের মধ্য দিয়ে উড়াল সেতুটির উদ্বোধন করেবেন।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ফ্লাইওভারটি নির্ধারিত সময়ের চার মাস আগেই কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি প্রকল্পটি অনুমোদন করে সরকার। নির্মাণের সময়কাল নির্ধারিত ছিল আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু তার চার মাস আগেই উড়াল সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে আশা করছে সরকার।
কালশী ফ্লাইওভার চালু হলে মিরপুরবাসী যানমুক্ত থাকতে পারবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
কালশী ফ্লাইওভার মিরপুরবাসীর জন্য বসন্তের উপহার মন্তব্য করে ঢাকা উত্তরের মেয়র বলেন, ফ্লাইওভারটি চালুর পর প্রতিদিনের যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন মিরপুরের বাসিন্দারা।
ফ্লাইওভারটি চালু হলে কয়েক কোটি মানুষের ব্যস্ত নগরীর মিরপুরের সঙ্গে বিমানবন্দর, উত্তরা, অন্যদিকে বাড্ডা, বনানী ও মহাখালীর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে।
উদ্বোধনের সময় উপস্থিত থাকবেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম।
ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প একনেকের অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি। প্রকল্পের আওতায় ইসিবি চত্বর থেকে কালশী পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হয়েছে। কালশী মোড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার।
চার লেনের ফ্লাইওভারের র্যাম্প তিনটি। ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ও মিরপুর ডিওএইচএসমুখী মূল ফ্লাইওভারটি চার লেইনের। কালশী মোড় থেকে কালশী সড়কের দিকে নেমেছে দুই লেনের একটি র্যাম্প।
মিরপুর ডিওএইচএস প্রান্ত এবং ইসিবি চত্বরের দিকের প্রান্ত থেকে ফ্লাইওভারে ওঠা যাবে। কালশী রোড প্রান্ত দিয়ে নামার সুযোগ রয়েছে, ওঠা যাবে না।
প্রকল্পের আওতায় দুইটি ফুটব্রিজ নির্মাণ, একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, দুটি পুলিশ বক্স, ৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন ও সসার ড্রেন নির্মাণ, ১ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার পাইপ ড্রেন নির্মাণ, সাইকেলের জন্য আলাদা লেন এবং ছয়টি বাস বে এবং যাত্রী ছাউনি আছে।