আগুন লাগার কারণ যখন পোষা বিড়াল
সারাদিনের কাজ সেরে ঘরে ফেরার পর আপনাকে স্বাগত জানাতে, আলিঙ্গন করে ঘরে নিতে প্রস্তুত থাকে পোষা বিড়াল। একটু আদর পাওয়ার জন্য পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ায় একটি ছোট্ট লোমশ প্রাণী। ইঁদুর এবং তেলাপোকার উপদ্রব থেকে বাঁচিয়ে ঘর পরিষ্কার রাখার দায়িত্বও পালন করে ঘরের ছোট্ট ওই চার পায়ের সদস্যটি। পোষা প্রাণী হিসেবে বিড়ালের জনপ্রিয়তা বহু পুরোনো। সম্প্রতি সেই আগ্রহ আরও বেড়েছে। বিশেষ করে নগরকেন্দ্রিক জীবনযাপনে বিড়াল এখন অন্যতম সঙ্গীও বটে।
তবে বিড়াল পালার সঠিক নিয়মগুলো অনেকেই জানেন না। ঘরে একজন বাড়তি সদস্য আনতে চাইলে তার সবকিছু নখদর্পণে রাখতে হয়। তা না হলে ঘটতে পারে বিপত্তি। এমনকি বিড়ালের কারণে আগুন লেগে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো সর্বনাশও।
জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার পোষা বিড়ালের মালিকরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। গত তিন বছরে একশর বেশি বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটিয়েছে এই পোষ্য বিড়াল। রাজধানী সিউলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এ তথ্য।
এদিকে আমেরিকান হিউম্যান অ্যাসোসিয়েশন বলছে, প্রতিবছর বিড়ালের কারণে আমেরিকার এক হাজারের মতো বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিড়ালের মালিকদের নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে অগ্নিকাণ্ড রোধে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সিউলের মেট্রোপলিটন ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১০৭টি বাড়িতে আগুন লেগেছে বিড়ালের কারণে। অথচ ২০১৬ সালেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল আটটি।
ধারণা করা হচ্ছে, ইলেকট্রিক স্টোভের সুইচ চালুর কারণে এমনটি হতে পারে। যেটি বিড়াল করতে পারে। সেই থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। এসব অগ্নিকাণ্ডে চারজন আহত হওয়ার খবরও পাওয়া যায় এবং বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে যখন বিড়াল মালিকরা বাড়ির বাইরে ছিলেন।
বিড়াল-সংশ্লিষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেশটিতে সম্প্রতি বেড়ে গেছে বলে জানান ফায়ার ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা চুং গিউ- চুল।
তিনি বলেন, বাড়িতে কেউ না থাকলে আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আমরা পোষা প্রাণীর মালিকসহ পরিবারের সদস্যদের এ ব্যাপারে অধিক সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।