আগামীর চ্যালেঞ্জ নিতেই মন্ত্রিসভায় নতুনরা : ওবায়দুল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নতুনদের নিয়ে গড়া মন্ত্রিসভা নিয়েই আগামীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পাওয়ার প্রত্যাশা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বুধবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানেন কাকে কোন পদে দিলে নির্বাচনের ইশতেহার যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারে এসে মূলত নতুনদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ৪৭ সদস্যের এ মন্ত্রিসভার ২৭ জনই সরকারের দায়িত্বে এসেছেন প্রথমবার, আগের সরকারের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা এবার বাদ পড়েছেন।
আগামী ৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘আরও উন্নত, আরও সমৃদ্ধ, আরও আলোকিত’ বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই এ মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছেন।
শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে তার জন্মস্থান ও নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া সাজানো হয় তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন আর পতাকায় বর্ণিল সাজে। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। আর তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা গোপালগঞ্জে যান বাসে চড়ে। সকালে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে ফেরিতে ওঠার আগেও এক দফা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিরোধী দল কী করবে তা জানি না। তবে যারা আন্দোলনে পরাজিত, নির্বাচনেও পরাজিত। তাদের নতুন কিছু করার আছে বলে কেউ বিশ্বাস করবে না। এমনকি বাংলাদেশের জনগণও বিশ্বাস করে না, আমরাও করি না।
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি দিলে রাজনৈতিকভাবেই তার ‘জবাব’ দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আইনি পথে কোনো ধরনের কর্মসূচি দিতে পারে, বলার নেই। তবে আন্দোলন যদি সংহিসতার পথে যায়, তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।