September 8, 2024
জাতীয়

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট রাজশাহীতে

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাচ্ছেন রাজশাহীর পরিবহন মালিকরা। বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে নয়, নিজেদের ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়ায় ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছেন বলে দাবি পরিবহন মালিকদের।

পরিবহন মালিকদের ১০ দফা দাবি নিয়ে এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। ফলে মালিকদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো।

এদিকে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। যার প্রত্যেকটিতেই সমাবেশ শুরুর কয়েকদিন আগে থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু করে স্থানীয় পরিবহন মালিকরা। তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতেও গণসমাবেশের দু’দিন আগে থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হচ্ছে বলে দাবি বিএনপির। তবে পরিবহন ধর্মঘট কিংবা মামলা দিয়ে সমাবেশ বাধাগ্রস্ত হবে না বলেও দাবি রাজশাহীর গণসমাবেশ আয়োজকদের।

রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘১ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট হবে। যেখানে বিএনপির সমাবেশ, সেখানেই পরিবহন ধর্মঘট। হাস্যকর একটা নাটক করছে সরকার। লোকে হাসছে এসব দেখে। এতে সরকারের জনপ্রিয়তা কি বাড়ছে?

এই ধর্মঘটের সঙ্গে পরিবহন মালিক কিংবা শ্রমিকের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার ধর্মঘট করতে বলে দিয়েছে তাই তাদের করতে হচ্ছে। এতে শ্রমিক ভাইয়েরা যে কষ্ট পাচ্ছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি আরও বলেন, ধর্মঘটের জন্য নেতাকর্মীরা আগে আগেই আসতে শুরু করেছে। তাদের থাকার জন্য আমরা শহরের কমিউনিটি সেন্টারগুলো ঠিক করেছিলাম। পুলিশ সবখানে গিয়ে বলে আসছে, কেউ যদি বিএনপির লোকজনকে থাকতে দেয়, তাহলে তাকেই ধরে নিয়ে যাবে। এটা কেমন কথা? একটা সভ্য দেশে এটা হতে পারে?

তবে ধর্মঘট প্রসঙ্গে বিএনপি নেতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজশাহী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো। তিনি বলেন, কারও সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। আমরা এই দাবিগুলো তো অনেক দিন ধরেই করে আসছি। কিছু দিন আগেও আমরা সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সবশেষ ২৬ নভেম্বর নাটোরে সভা করে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে যে আজ (বুধবার) রাত ১২টার মধ্যে দাবি না মানলে আমরা ধর্মঘটে যাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাইনি। ফলে আমাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যেতেই হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধান করাসহ হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে থ্রিহুইলার, সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ ও জ্বালানি তেলসহ যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করাসহ ১১ দফা বাস্তবায়নে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেন রাজশাহী বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *