আইসিসি র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে মেহেদি মিরাজ
সিরিজ শুরুর আগে এক ধাপ পিছিয়ে চার থেকে পাঁচে চলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি সিরিজের দুই ম্যাচ খেলেই তিন ধাপ এগিয়ে এলেন তিনি।
আইসিসির সবশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, তিন ধাপ এগিয়ে ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছেন মিরাজ। দুই ম্যাচে ৭ উইকেট নেয়ার সুবাদে এ অবিস্মরণীয় সাফল্য পেলেন ২৪ বছর বয়সী অফস্পিনার।
মেহেদি মিরাজ ছাড়াও আইসিসি র্যাংকিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ৮ ধাপ এগিয়ে চলে এসেছেন সেরা দশে। তার বর্তমান অবস্থান নবম।
চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মেহেদি মিরাজ। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পরের ম্যাচে তার শিকার ২৮ রানে ৩ উইকেট। দুই ম্যাচে ২০ ওভারে মাত্র ৫৮ রান খরচায় ৭ উইকেট নেয়ার সুবাদেই র্যাংকিংয়ের পাঁচ নম্বর থেকে উঠে গেছেন দুইয়ে।
ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ে ৭৩৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। দুই নম্বরে থাকা মেহেদি মিরাজের নামের পাশে রয়েছে ৭২৫ রেটিং পয়েন্ট। তার পেছনে রয়েছেন মুজিব উর রহমান, যার ঝুলিতে আছে ৭০৮ পয়েন্ট। এ তিনজনেরই রয়েছে সাতশ’র বেশি রেটিং।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে আইসিসির কোনো র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দুইয়ে প্রবেশ করলেন মেহেদি মিরাজ। তার আগে ২০১০ সালে বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকও বসেছিলেন দুই নম্বর স্থানে। এছাড়া অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে প্রায় এক যুগ ধরে শীর্ষস্থানটিই নিজের করে রেখেছেন সাকিব আল হাসান।
মিরাজের অভাবনীয় সাফল্যের দিন সুখবর পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি দুই ম্যাচের শিকার করেছেন ৩টি করে উইকেট। যার ফলে ৮ ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বর থেকে এখন উঠে এসেছেন নবম স্থানে। তার বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ৬৫২। মোস্তাফিজের ক্যারিয়ার সেরা র্যাংকিং পঞ্চম স্থানে ওঠা। যা তিনি করেছিলেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে।
দুই বোলারের পাশাপাশি ব্যাটিং র্যাংকিংয়েও বাজিমাত করেছেন বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮৪ ও পরেরটিতে ১২৫ রানের ইনিংস খেলার পর চার ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৪ নম্বর স্থানে উঠে গেছেন মুশফিক। তার নামের পাশে রয়েছে ৭৩৯ রেটিং পয়েন্ট।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুশফিকই এখন সবার ওপরে। তার পরে রয়েছেন তামিম ইকবাল (২৪), সাকিব আল হাসান (২৯) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা (৩৮)। দুই ম্যাচে ৫৪ ও ৪১ রান করে দুই ধাপ এগিয়ে ৩৮ নম্বরে উঠেছেন মাহমুদউল্লাহ।