আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সংবিধান লংঘন করা যাবে না : কাজী রিয়াজুল
দ: প্রতিবেদক
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক আইন প্রযোগকালে যেন সংবিধানের লংঘন না ঘটে সে দিকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষন: অংশীজনের দায়িত্ব শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই মন্তব্য করেন। ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের যে কোন সময়ের তুলনায় এখন অনেক ভাল। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা পৃথিবীর সর্বত্র প্রশংসিত। এ ধরনের হাজারো অর্জন যেন আমাদের ভুল পদক্ষেপের কারণে ¤øান হয়ে না যায়।
চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা প্রত্যেকেই যারযার দায়িত্বটুকু সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করছি কিনা তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে ঐ এলাকার কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিগুলো সরানোর নির্দেশ দিলেও কাদের গাফিলতির কারনে বাস্তবায়ন হয়নি তা খতিয়ে দেখতে হবে।
জেলখানাগুলোতে ধারন ক্ষমতার অধিক মানুষ রয়েছে উল্লেখ করে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, নিরপরাধ কোন ব্যক্তি যেন হয়রানিমূলকভাবে গ্রেফতারের শিকার না হন। প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদেরকেই গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (জেলা ও দায়রা জজ) আল মাহামুদ ফায়জুল কবীর, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশানার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, কেএমপি’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি এ.কে.এম নাহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) মো: ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কমিশনের উপপরিচালক এম রবিউল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় কেএমপি এবং খুলনা জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানার ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য, আইনজীবী, বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থার কর্মীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।