আইইডিসিআরে আক্রান্ত ৪: ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা কোয়ারেন্টিনে
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারের যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, সেই আইইডিসিআরের চারজন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন; প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা কোয়ারেন্টিনে থাকলেও ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন।
চীনের উহান থেকে নভেল করোনাভাইরাস অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে নিয়মিত হালনাগাদ পরিস্থিতি জানিয়ে আসছিল রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর।
বাংলাদেশে শুরুতে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুধু মহাখালীর আইইডিসিআরেই হত; তার সর্বশেষ খবর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও নিয়মিত আসতেন অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্রিফিং করছে, আর তাতে অধ্যাপক ফ্লোরার অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে তার কোয়ারেন্টিনে থাকার খবর আসে গণমাধ্যমে। সেই সঙ্গে আইইডিসিআরের ছয়জন কর্মীর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবরও আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে যোগাযোগ করা হলে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, “কথাটি সত্য নয়। আমাদের এখানে ছয়জন আক্রান্ত হয় নাই।”
পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, “(আইইডিসিআরের) চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে আছেন। তাদের কন্টাক্টে যারা ছিলেন, তারা কোয়ারেন্টিনে আছন।”
আইইডিসিআরের পরিচালকের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, “মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আক্রান্ত হননি। তবে তিনি কোয়ারেন্টিনে আছেন।”
বিষয়টি জানতে অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরাকে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস পাঠালে ফিরতি বার্তায় তিনি বলেন, “আমরা ভালো আছি।”
বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। সিলেটে এক চিকিৎসক একদিন আগেই মারা গেছেন।
দেশে এপর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭২ জনে।
রোগটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার পুরো বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।