‘অস্ত্র-মাদক বন্ধে প্রয়োজনে গুলি’
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে মাদরাসায় সন্ত্রাসীদের হামলায় সাতজন নিহতের ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ. কে আব্দুল মোমেন বলেছেন রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে চায় না, তারা হয়তো এসব অঘটন ঘটাচ্ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও অস্ত্রব্যবসা বন্ধে প্রয়োজনে গুলি ছোঁড়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতিতে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি বড় ধরনের সভা হয়েছে। এরপর শুক্রবারের দুর্ঘটনা খুবই আতঙ্কের বিষয়।
ড. মোমেন বলেন, ‘ওখানে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার তথ্য দিচ্ছেন অনেকে। কিছু বন্দুকটন্দুকও আনা হয়। এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। মাদক ও অস্ত্র পুরোপুরি বন্ধের জন্য প্রয়োজনে গুলি করার পরামর্শ দেওয়া হবে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নার ঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি মাদরাসায় গুলি করে ও কুপিয়ে ৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা সবাই ওই ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকের ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র এবং স্বেচ্ছাসেবী। আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এদিকে, গত মঙ্গলবার ভারত তিস্তা ব্যারেজের গাজলডোবা অংশের সবগুলো গেট খুলে দেয়। বাংলাদেশকে কিছু না জানিয়েই গেটগুলো খুলে দেওয়ায় আকস্মিক ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে দেশের উত্তরাঞ্চল।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে শুক্রবার আলাপ করবেন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই দৃঢ়। কিন্তু বিভিন্ন গোষ্ঠী বা ব্যক্তি বিশেষের কারণে ঝামেলা পোহাতে হয়। এ নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবো।
এর আগে শুক্রবার সকালে আকাশ পথে ঢাকা থেকে সিলেটে এসে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সকাল ১০টার দিকে তিনি নগরীর বালুচরস্থ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে একটি সভায় যোগ দেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশে আয়োজিত সিলেট জেলায় জনসচেতনতা মূলক এ আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ, হাবিবুর রহমান, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার অব আব্দুল মালিক।