অস্ত্রবিরতি পালনের চেষ্টা চালাতে তুরস্ক যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেন্স ও পম্পেও
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তুরস্কের উদ্দেশে বুধবার ওয়াশিংটন ত্যাগ করেছেন। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি আগ্রাসনের ব্যাপারে অস্ত্রবিরতি পালনের প্রচেষ্টা চালাতে তারা আঙ্কারায় যাচ্ছেন। খবর এএফপি’র।
পম্পেও তার বিমানে থাকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মিশনের লক্ষ্য অস্ত্রবিরতি পালনের এবং এ সংকটের মধ্যস্থতা করার চেষ্টা চালানো।’
পৃথক বিমানে ভ্রমণ করা পেন্স ও পম্পেও’র তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোচনা করার কথা রয়েছে। তবে এরদোগান বলেছেন, তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করবেন না।
তুরস্কের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও এরদোগান অঙ্গীকার করেছেন। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার পর তারা এ অভিযান শুরু করে।
ওই অঞ্চল থেকে সৈন্য তুলে নেয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ব্যাপারে এরদোগানকে ‘সবুজ সংকেত’ দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
এদিকে পেন্সের দপ্তর থেকে বলা হয়, সেখানে দ্রুত অস্ত্রবিরতি পালন না করা হলে ‘শাস্তিমূলকভাবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্ক সফরের পর পম্পেও সিরিয়া এবং এ অঞ্চলে ইরান সরকারের অস্থিতিশীলতামূলক কর্মকান্ড দমনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাত করতে শুক্রবার জেরুজালেম যাবেন।
ইরান হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের চির শত্রু। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে করা আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে ট্রাম্প বেরিয়ে গিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পম্পেও ব্রাসেলসে ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলেনবার্গের সঙ্গেও সাক্ষাত করবেন।