November 26, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তুলতে হবে সমৃদ্ধির সোপান

অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে সমৃদ্ধির সোপান গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি

সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের।

হিন্দু ধর্মালম্বীদের অভয় দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাঝে মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে একটি অশুভ চক্র ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এ দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যে আঘাত হানার অপচেষ্টা করে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন আছে আপনাদের কোনো ভয় নেই।

‘দেশের উন্নয়নে যেমন প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা তেমনই প্রয়োজন প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক’ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোন দেশই প্রতিবেশী দেশের সাথে খারাপ সম্পর্ক রেখে এগোতে পারে না। শেখ হাসিনা সরকার ও ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকারের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। দুই দেশের সম্পর্ক একাত্তরের রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের আরও বলন, প্রতিবেশী দেশের সাথে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সহজেই সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত। দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা সমাধানে শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় দুই দেশের পারস্পরিক আস্থাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র জয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে তা সম্পর্কের সূত্রকে করেছে আরও সুদৃঢ়। দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

দেশের নাগরিক হিসেবে সবার সমান সুযোগ এবং অধিকার রয়েছে জানিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা নিজেদের মাইনরিটি ভাববেন না, তা ভাবা হলে আপনারা মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকবেন। নাগরিক হিসেবে একজন মুসলমানের রাষ্ট্রের প্রতি যে অধিকার আছে, আপনাদেরও সমান অধিকার আছে।

তিনি বলেন, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র হচ্ছে—সামাজিক সখ্য, ঐক্য ধরে রেখেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কী অমানুষিক নির্যাতন নেমে এসেছিলো তা নিশ্চয়ই মনে আছে? যে নির্যাতন একাত্তরের পাক-হানাদারদের নির্যাতনকেও মনে করিয়ে দেয়। তাদের অপচেষ্টা এখনো চলছে, ইতোমধ্যেই তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এদেশে যারা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা ও লালন করেছিল এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে বড় করে তুলেছিল তারাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের ওপর বারবার আঘাত হেনেছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *