অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সবাই কথা শুনব কেন
তেল নিয়ে দুয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণে সব ব্যবসায়ী কথা শুনবেন, তা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এসব অসাধু ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১১ মে) ভোজ্য তেলের আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। মতিঝিলের দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) বোর্ড রুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জসিম উদ্দিন বলেন, তেল নিয়ে লং টার্ম প্ল্যান (দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা) দেখছি না। তেল নিয়ে আমাদের লং টার্ম প্ল্যান করতে হবে। স্থানীয় বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি স্তরে সয়াবিন তেলে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড় দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্ববজারে দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। এক সঙ্গে দুই কোটি লিটার তেল নিয়েছে টিসিবি। যার ইমপ্যাক্ট এখানেও কিছুটা পড়েছে। টিসিবি এক সঙ্গে এতোগুলো তেল নেওয়ায় কিছুটা সাপ্লাই ডিমান্ডের সমস্যা হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা বলেছিলেন কোরবানি পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। তেলের ভ্যাটও তো কমিয়েছে সরকার। আমরা কেউ কারো শত্রু না, কিনছেন বিক্রি করছেন কিছু স্টক থাকবে। কিন্তু স্টকে থাকবে মাল দেবেন না এটা হতে পারে না। স্টকে মাল থাকলে দিতে হবে। দুয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সব ব্যবসায়ীর কথা শুনতে হবে, এটা হতে পারে না।
শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি বলেন, দোকান মালিক সমিতিকে এজন্য রেসপনসেবলিটি নিতে হবে। কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সময়ে ৫/৭ টা মিল দিনরাত কাজ করে আমাদের সার্ভিস দিচ্ছে, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। শুধু তাই নয়, বিজনেসকে বিজনেসের মতো চলতে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জসিম উদ্দিন আরো বলেন, এক দোকানের জন্য কেন ১০০ দোকানকে হেয় করা হবে- এটা ঠিক না। তবে কয়েকটি আইটেমের ওপর সরকারের নজরদারি থাকতে হবে। সরকার ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট সহায়তা করছে। ব্যবসায়ীরা এদেশে কন্ট্রিবিউট করছেন, তাদের কথা শুনতে হবে। তাই যারা সত্যি ক্রিমিনাল তাদের চিহ্নিত করুন। এক শতাংশ অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য আমরা কেন কথা শুনবো? এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। সামনে কোরবানির ঈদ; যেহেতু তেলের সঙ্কট, তাই বেশি মজুদ করা যাবে না।
এখন নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তেল পাওয়া যাবে। আমাদের লুজ তেল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এতে করে দাম ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে বলেও মতবিনিময় সভায় উল্লেখ করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের এ নেতা।