January 20, 2025
আঞ্চলিক

অসহায়দের মাঝে সিডিসি’র ২৮ কোটি ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা প্রদান

 

করোনা প্রতিরোধে ও সচেতনাতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে

 

দ. প্রতিবেদক

করোনা প্রতিরোধে ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিডিসি অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের ২৮ কোটি ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫শ টাকা সহযোগিতা করেছে। সরকারি, ডিএফআইডি ও ইউএনডিপি’র অর্থায়নে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের তত্ত¡াবধায়নে ৩০টি ওয়ার্ডে এ অর্থ প্রদান করা হয়।

জানা যায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীতে ড্রেন, ফুটপাত, টয়লেট, বাথরুম নির্মান, ক্ষুদ্র ব্যবসা, শিক্ষা সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টি খাদ্যসহ বিভিন্ন ডেভেলপমেন্ট প্রদানের কাজ করে সিডিসি। বর্তমানে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ অব্যাহত রয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তের আশংখায় খুলনার সাধারণ মানুষ যখন চরম আতংকে, ঠিক সেই মুহুর্তে অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সিডিসি’র উন্নয়ন প্রকল্পের টিম। বিশেষ করে বস্তি এলাকাসহ প্রতিটি বাড়ি বাড়ি যেয়ে স্ব্যাস্থ্য সুরক্ষাসহ সচেতনা মূল লিফলেট বিতরণ, নগরীতে প্রায় ৭শ পয়েন্টে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে মাঠে নামেন সিডিসি ক্লাষ্টার ও কর্মচারী কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘মানবিক সহায়তা কর্মসূচির’ আওতায়  করোনা প্রতিরোধে কর্মহীন অসহায় মানুষের জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠি জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পে ২৮ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত ২০ মে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক অনুষ্ঠানিকভাবে ৩০টি ওয়ার্ডের ১৮ হাজার ৮শ ৫৩ পরিবারকে মোবাইল রকেট একাউন্টের মাধ্যমে এ অর্থ প্রদান করেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলারদের সহযোগীতায় স্বচ্ছতার মধ্যদিয়ে প্রত্যেক পরিবারকে ১৫শ টাকা করে প্রদান করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সিডিসি’র সদস্যদের জন্য ৭৭ হাজার ২শ ৬ জন পরিবারকে ৫টি করে সাবান প্রদান করা হয়। ১৯৫০টি পরিবারে শিশুদের জন্য দুধ, চিনি, সুজিসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের খুলনার টাউন ম্যানেজার বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগীতায় এ প্রকল্পের টিম কাজ করছে। নিজেদের কথা চিন্তা না করে সিডিসি ও ক্লাষ্টারের নেতৃবৃন্দ ও টিমের সদস্যরা প্রতিটি বাড়ী বাড়ী যেয়ে উপকারভোগীদের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যেই একটাই যাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে পারি। অসহায় ও কর্মহীন মানুষের পাশে থাকতে পারি।

স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী বলেন, চাহিদার তুলনায় সহোযোগিতা অনেক কম। এ মুহুর্তে আরো সাহায্য প্রয়োজন। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চল এলাকায় অনেক বস্তি রয়েছে। সেখানে কেউ মিল শ্রমিক, কেউ রিকশাচালক, আবার কেউ দিন মজুরের কাজ করে। এদের দিন যায় অর্ধহারে, অনাহারে। তারা আরো বলেন, করোনা প্রতিরোধে প্রায় ২ মাস সরকারি ছুটি থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ে এই অঞ্চলের মানুষ। এ সকল মানুষদের চাহিদা অনুযায়ী যাতে সিডিসি পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে পারে, সেই দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *