অসচ্ছল চিত্রশিল্পীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার পরিকল্পনা সরকারের, গঠিত হবে বিশেষ ফান্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট’ আইনের আওতায় ট্রাস্টটি গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে; রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খসড়া নিয়ে পর্যালোচনাও করা হয়েছে।
সভায় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্ম-পরিধি নিয়ে মতামত দিয়েছেন চলচ্চিত্র সংশিষ্টরা। ছোটখাট কিছু সম্পাদনা করে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
তথ্য সচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, চিত্রনায়ক এম এ আলমগীর, চিত্রনায়িকা রোজিনা, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম ও সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজামুল কবীর।আইনের খসড়ার সঙ্গে যুক্ত থাকা বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন বলেন, “অনেক আগেই খসড়ার কাজ শুরু হয়েছে। একাধিকবার সম্পাদনাও করা হয়েছে। এবার মন্ত্রণালয় থেকে আইনটিকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সভা ফলপ্রস্যু হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আইনটি পাস হবে। তারপর গেজেট প্রকাশের পর দ্রুত কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হবে।”
কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় অসচ্ছল শিল্পীদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
তিনি বলেন, “অনেক শিল্পী শেষ বয়সে আর্থিক সংকটে ভোগেন, অনেকে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করা পারেন না। ট্রাস্টের আওতায় তাদের চিকিৎসান জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।”
সহায়তা পেতে শিল্পীদের কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করতে হবে বলে জানান তিনি।
“আবার ট্রাস্টের পক্ষ থেকেও খোঁজখবর রাখা হবে। ট্রাস্ট নিজ উদ্যোগেও অসমর্থ শিল্পীদের পাশে থাকবে।”
ফেরদৌস জানান, শুধু চিকিৎসা নয়, অসচ্ছল শিল্পীদের বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যয়ভারও বহন করবে কল্যাণ ট্রাস্ট।
এতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে অসচ্ছল শিল্পীদের আর্থিক সহায়তা করে এসেছেন; তার উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করতেই কল্যাণ ট্রাস্ট করা করা হচ্ছে বলে জানালেন সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজামুল কবীর।
“এবার থেকে একটি দাপ্তরিক প্রক্রিয়ায় শিল্পীদের সহায়তা করা হবে। শিল্পীর দেশের সম্মানিত ব্যক্তি। সম্মানের সঙ্গেই তাদের সহায়তা করা হবে।”