অশনি এখন গভীর নিম্নচাপ, অতিভারী বর্ষণের আভাস
প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে ওঠে বাঁক নিয়ে আবারো সাগরে নেমে এসেছে। আর এতে শক্তি হারিয়ে পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে- বুধবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে টায় উপকূলে ওঠে আবারো সাড়ে সাতটার দিকে সাগরে নেমে গেছে। বর্তমানে এটি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
বর্তমানে গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ আছে ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোটিমিটার, যা দমকা আকারে ৭৫ কিলোমিটারেও ওঠে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগর এখনো বিক্ষুদ্ধ থাকায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর দুরবর্তী সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এমনকি গভীর সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে গেছে। খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়েছে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেড়ে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই ওইসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের বর্তমান অবস্থা আরো দু’দিন থাকবে। এরপর হ্রাস পাবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সকল বিভাগের অধিকাংশ স্থানেই বৃষ্টিপাত হবে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে, ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে, ১৬৯ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার।