অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু ২ ফেব্রুয়ারী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ঢাকার সিটি নির্বাচনের ঢেউ পড়েছে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায়! ৩০ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট ১ ফেব্রæয়ারি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে নির্দিষ্ট দিনের একদিন পর অর্থাৎ ১ ফেব্রæয়ারির পরিবর্তে গ্রন্থমেলা শুরু হবে ২ ফেব্রæয়ারি। একই সঙ্গে একদিন পিছিয়ে গেছে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও।
গতকাল রবিবার মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের কারণে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ১ ফেব্রæয়ারির বদলে ২ ফেব্রæয়ারি শুরু হবে। ওইদিন বিকেল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী মেলার উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। গ্রন্থমেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় বই ‘আমার দেখা নয়া চীন’ এর মোড়ক উন্মোটিত করা হবে বলে জানান কবি ও লেখক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
জানা যায়, ১৯৭২ সালে শুরু হওয়া অমর একুশে গ্রন্থমেলা মাসব্যাপী আয়োজন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। এরপর গত ২২ বছরের ইতিহাস বদলে দিয়ে এবারই প্রথমবারের মতো ২ ফেব্রæয়ারি শুরু হচ্ছে প্রাণের মেলা।
এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি ছিল। সেদিনও অমর একুশে গ্রন্থমেলা হয়েছে। তবে এবার উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার কারণেই গ্রন্থমেলা একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ঢাকা শহরে সাধারণ ছুটি। সেহেতু মেলা না পিছিয়ে উপায় ছিল না। যেটাই হোক, এবার একটি ভালো মেলা আশা করছি।
মেলা যেহেতু একদিন কম হচ্ছে, সেই হিসেবে মেলার সময় বাড়ানোর দাবি করবেন কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও কিছু ভাবিনি। প্রকাশকদের স্বার্থ ও ইচ্ছা দেখে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
এদিকে, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা অন্য যেকোনোবারের চেয়ে এবছর আরো বিস্তৃত পরিসরে আয়োজন করা হবে। সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতাকে।
গতবছরের চেয়ে এবার বেশি প্রকাশনা সংস্থা মেলায় অংশ নেবে। ৪০টি নতুনসহ এবারের অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা ৪১০টি। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন ২৩টির স্থলে এবার হয়েছে ৩৪টি। শিশু চত্বরের আয়তনও বাড়ছে।