অবশেষে মালয়েশিয়ায় চাকরি পেলেন আটকে পড়া ১২০ বাংলাদেশি
প্রায় ১২০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজের ভিসা নিয়ে বৈধভাবে প্রবেশের পরও নিয়োগকর্তাদের অবহেলায় কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে এসব শ্রমিক বাংলাদেশ দূতাবাস ও মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগের হস্তক্ষেপে নতুন করে চাকরি পেয়েছেন। এসব বাংলাদেশিকে ন্যূনতম মজুরি অনুযায়ী একটি নতুন সংস্থা তাদের কর্মী হিসেবে গ্রহণ করে।
মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় আটকে পড়া শ্রমিকদের একটি নতুন কম্পানিতে সফলভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ন্যূনতম মজুরি কাঠামো অনুযায়ী তাদের বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কম্পানিটি।
দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী শিগগিরই তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
এর আগে সোমবার আটকে পড়া শ্রমিকরা তাদের দুর্ভোগ আর ক্রমবর্ধমান হতাশার কারণে সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনে জড়ো হন। বাংলাদেশি এই শ্রমিকদের মুখপাত্র আব্রাহাম বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে আসার পর তাদের চাকরি কিংবা গত চার মাসে কোনো ধরনের ভাতা দেওয়া হয়নি।
‘তারা এখানে এসেছিল। কারণ তাদের থাকার উপযুক্ত জায়গা নেই। যে জায়গায় তাদের থাকতে বলা হয়েছিল, সেখানে সঠিক স্যানিটেশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। এই শ্রমিকদের অবস্থা খুবই খারাপ।’
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে তিনি বলেছেন, ‘এ ছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই, টাকা নেই এবং বেঁচে থাকার জন্য কোনো খাবারও নেই।’
আব্রাহামের মতে, প্রায় ৬০০ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক চারটি কম্পানির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় এসেছে। দেশটির গেন্টিং হাইল্যান্ড এলাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ দেওয়ার কথা ছিল তাদের।
মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈধভাবে আসার পর কোনো চাকরি না পেয়ে যে শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন, তাদেরকে এ দেশে নিয়ে আসা কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগে জড়িত নিয়োগকারী এসব কম্পানির লাইসেন্স প্রত্যাহার করা হবে। তারা অভিবাসী কর্মীদের নিয়োগের জন্য সরকারি কোটা ও লাইসেন্সের অপব্যবহারকারী নিয়োগকারী কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।