November 24, 2024
আন্তর্জাতিক

অবশেষে চীনের উহানে লকডাউনের অবসান

করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে দু’মাসব্যাপী লকডাউনের অবসান হলো। যারা সুস্থ রয়েছেন, তারা চাইলে এখন শহরটি ছেড়ে যেতে পারবেন।

বুধবার (০৮ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

নতুন করে আবারও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই বুধবার উহানে লকডাউন তুলে নেওয়া হলো। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের এ শহরটি জানুয়ারির শেষদিকে লকডাউন করে দেওয়া হয়। চীন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, উহানে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন আড়াই হাজারেরও বেশি।

তবে সংক্রমণ একেবারে কমতে শুরু করায় শহরটিতে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। গত ২১ দিনে উহানে মাত্র তিনজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

বুধবার প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ ট্রেনে করে উহান ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উহান তিয়ানহে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ইতোমধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ শহরটি ছেড়েছেন। তবে বেইজিংগামী এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এখনো চালু হয়নি।

অভিবাসী কর্মী লিউ শাওমিন বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে আমি আজ বাড়ি যাচ্ছি।’ তিনি শিয়াংইয়াং শহরে যাওয়ার জন্য হানকোউ রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করছেন।

তবে জরুরি প্রয়োজন না থাকলে উহানের বাসিন্দাদের এলাকা, শহর এবং এমনকি প্রদেশ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

উহান ছেড়ে যারা বেইজিং যাবেন, তাদের দুই দফায় ভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। বিশেষ করে উপসর্গহীন রোগীদের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ রোধে তৎপর রয়েছে চীন।

এ মুহূর্তে চীনের মূল উদ্বেগ উপসর্গহীন রোগী, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও যাদের শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না এবং নিজের অজান্তেই তারা অন্যদের সংক্রমিত করেন। বিদেশ থেকে আসা আক্রান্তদের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের মূল ভূখণ্ডে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) শনাক্ত হয়েছেন ৬২ জন। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিলেন ৩২ জন। অন্যদিকে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৩৭ হয়েছে, তাদের মধ্যে ১০২ জন বিদেশ থেকে এসেছেন।

উপসর্গহীন রোগীদের জ্বর বা কাশি হওয়ার আগ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে আক্রান্তদের তালিকায় যোগ করে না চীনা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে পর্যবেক্ষণে রাখা উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৫ জন।

চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮০২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩৩ জন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *