অফিস পুরো খুলে মহামারী ছড়াচ্ছে সরকার: রিজভী
অফিস-আদালত সম্পূর্ণভাবে খুলে দিয়ে সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব একথা বলেন।
রিজভী বলেন, “সরকারি অফিস-আদালতে সবাইকে কাজ যোগদানের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটাতে প্রমাণ হয় যে, এই সরকার মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য নয়, মানুষের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নয়। এই সরকার হচ্ছে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করছে।
“আমি মনে করি, সরকারি অফিস-আদালতে সবাইকে যোগদানের যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেটা অমানবিক ও মনুষ্যত্বহীন। এভাবে অফিস-আদালত খুলে দেওয়ার কারণে সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়বে এবং আরো অসংখ্য মানুষকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে থাকতে হবে।”
সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “মানুষকে সচেতন করে করোনা প্রতিরোধ করার জন্য এই মুহূর্ত পর্যন্ত যে পদ্ধতিগুলো আছে, সেই পদ্ধতিগুলো পালন সরকার তো করেনি। বরং মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
“দেশে স্বাভাবিক অবস্থা বুঝানোর জন্য, করোনা মানুষ তেমন আক্রান্ত হচ্ছে না বলে পরিসংখ্যানে তারা (সরকার) ভুল তথ্য দিচ্ছেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। আর তলে তলে ক্রমান্বয়ে ভেতরে ভেতরে করোনার প্রসারে চেষ্টা করে গেছেন তারা।”
কোরবানির পশুর চামড়ার দামের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “সরকার চামড়া শিল্পের প্রসার-উন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে আজকে দাম না পেয়ে কোরবানির চামড়া মানুষ রাস্তা-ঘাটে, নদীতে ফেলে দিচ্ছে, মানুষ গর্তে পুঁতে রাখছে।
“এবারে কোরবানির চামড়া দাম থাকায় এতিম-দুঃস্থ-গরীবরা এ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ট্যানারি শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে শুধুমাত্র সরকারের ব্যর্থ নীতির কারণে।”
কুড়িগ্রামের নিজের বাসা থেকে এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী।