অনুপ্রবেশকারীদের ছেঁকে ছেঁকে বের করা হবে : নানক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দলের মধ্যে যদি কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকে থাকে, তাহলে তাদের ছেঁকে ছেঁকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতি চলবে না।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির। আজ শুক্রবার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বেলা তিনটায় এই সম্মেলন হয়। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। পরে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন কমিটিগুলো হয়েছে কি না, জানি না। ইউনিয়ন কমিটি হয়ে থাকলে সেই কমিটিতে কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে পারবে না। জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘আন্দোলন সংগ্রাম সব করলাম আমরা। কমিটি গঠনের সময় সেই মানুষগুলো আসতে পারবে না। আসবেন নতুন নতুন শালা সম্বন্ধি, মামা-ভাগিনা, ভাগনি শালি এগুলো চলবে না।’
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ভালো মানুষদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা খুলে দিতে হবে। যাঁদের সমাজে ভিত্তি আছে, সমাজে যাঁদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাঁদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব যতই গুতাগুতি করেন, যতই আবল-তাবল বকেন, প্রধান বিচারপতির এজলাসে গিয়ে যতই হই–হট্টগোল করে গাড়ি ভঙচুর করেন, এভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না।’
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক চড়াই উতরাই পার করে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দলটি অনেক অত্যাচার সহ্য করে আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলার সাধারণ সম্পাদক মু. সাদেক কুরাইশী। এখানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বিকেল পাঁচটার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীর কবির। এ পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর মু. সাদেক কুরাইশীকে সভাপতি ও দীপক কুমার রায়কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি। সে সময় কাউন্সিলররা কণ্ঠভোটে এই ঘোষণার প্রতি সমর্থন জানান।