অঞ্জনার মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সাপ্তাহিক রাজপথ বিচিত্রার সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন রাজা সিরাজের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে চিত্রনায়িকা অঞ্জনা সুলতানার দায়ের করা মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে এ মামলা করেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
গত ১ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক রাজপথ বিচিত্রায় একজন জ্যোতিষী ও তার প্রচারণায় বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই জ্যোতিষীকে ‘প্রতারক’ উল্লেখ করে তার প্রচারণার বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়া কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর ছবিও প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে। এতে বেশ ক’জনের পাশাপাশি নায়িকা অঞ্জনার ছবিও দেখা যায়।
মামলার বাদী চিত্রনায়িকা অঞ্জনা বলেন, এ ধরনের সংবাদে পুরো শিল্পী সমাজের সম্মানহানি হয়েছে। আমি শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে আজ আদালতে মামলা করেছি, যেন অন্য কেউ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করতে না পারে।
বাদীর আইনজীবী হাজেরা আক্তার বলেন, আসামি রাজা সিরাজের বিরুদ্ধে দÐবিধির ৫০০/৫০১/৩৮৫/৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে। আমরা আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক রাজপথ বিচিত্রার প্রথম পৃষ্ঠায় ওই জ্যোতিষী ও তার বিজ্ঞাপনের ওপর সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এতে ‘প্রতারণার বিজ্ঞাপনে নায়িকা নামধারী — একা’, ‘প্রতারণার বিজ্ঞাপনে — রিনা খান’, ‘প্রতারণার বিজ্ঞাপনে নায়িকা সুজাতা’, ‘প্রতারণার বিজ্ঞাপনে নায়িকা নামধারী — জি কে শামীমের — রতœা’, ‘প্রতারণার বিজ্ঞাপনে চিত্রনায়িকা অঞ্জনা’ ও ‘দুই মাসির সাথে ছিনতাইকারী মেহেদী হাসান নয়ন’ ক্যাপশন দিয়ে কিছু ছবি প্রকাশ হয়।
৮ জানুয়ারি বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন অঞ্জনা। এ নিয়ে তিনি রাজপথ বিচিত্রার সম্পাদক রাজা সিরাজের সাথে যোগাযোগ করলে তার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই সম্পাদক। অঞ্জনা চাঁদা দাবির জবাব চাইলে রাজা সিরাজ হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আরও গোপন তথ্য আছে, যা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে’।
এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বাদীর পাঁচ কোটি টাকার মানহানি ও ক্ষতিসাধন হয়েছে। তাই তিনি আদালতে সিআর মামলা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।