অগ্নি নিরাপত্তা: মাঠে নামছে রাজউকের ২৪টি দল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও অগ্নি নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে সোমবার থেকে রাজউকের ২৪টি দল মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বহুতল ভবনগুলোর হাল দেখে করণীয় ঠিক করতে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
গতকাল রোববার রাজউক মিলনায়তনে এক সভার পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এর জন্য আগামীকাল (সোমবার) থেকে রাজউকের ২৪টি টিম মাঠে কাজ করবে। যেসব ভবনে পরিকল্পনা নকশা অনুযায়ী করা হয়নি, সেসব ভবনের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। নিয়মের বাইরে যেসব থাকবে সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিটি বড় অগ্নিকাণ্ডের পর ওই ভবন নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র বেরিয়ে আসার পর নানা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা এলেও তার বাস্তবায়ন শেষ পর্যন্ত দেখা যায়নি। এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর একই চিত্র বেরিয়ে আসার পর নতুন মন্ত্রী রেজাউল করিম কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ এর পূর্ববর্তী সময়ে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা বা গ্যারেজ রাখার কোনো বিধান ছিল না। সে সব ভবনের জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি বিল্ডিং যারা ব্যবহার করবেন তাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে বা সেখানকার মানুষ হিসেবে আগে দেখে নিতে হবে যে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কি না? অতিরিক্ত সিঁড়ি লাগানো আছে কি না বা সব কিছু মেনে বিল্ডিং করা হয়েছে কি না? যদি এসব নিয়ম মেনে না করা হয় তাহলে সেই সেই ভবনটি ব্যবহার করবেন না।
রাজধানীর কোন কোন ভবন নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি এবং কোথায় অগ্নি ঝুঁকি রয়েছে তা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচারের ঘোষণা দেন রেজাউল করিম। আমাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হওয়ার পর আমরা এটা জনসম্মুখে জাতীয় পত্রিকায় টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন আকারে দরকার হয় প্রকাশ করব। দেশের মানুষের জানা দরকার, যারা এভাবে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করে জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করেনি তাদের চেহারা দেশবাসীর দেখা উচিত।
এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ও একটি তদন্ত কমিটি করেছে। ওই ভবনের নকশা অনুমোদন এবং নির্মাণ কাজে ত্র“টি-বিচ্যুতি ছিল কি না- তা তদন্তে ছয় সদস্যের এই কমিটি কাজ করবে। এর প্রধান হচ্ছেন পূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী।
রাজউকে সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উলা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।