‘অক্টোবরের পর প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা থাকবে না’
এখনও অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম, দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ নেননি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলবে। ৩ অক্টোবরের পর ভ্যাকসিন নাও থাকতে পারে। বা থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। তাই এর মধ্যে সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুরোধ জানান।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে ভ্যাকসিনেশন বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এর মধ্যে আমরা ৩১ কোটি ভ্যাকসিন পেয়েছি। প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলিয়ে ইতোমধ্যে ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ৩১ কোটির মধ্যে ১৪ কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পেয়েছি। কোভিক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এর মধ্যে ১০ লাখ ৫-১১ বছরের শিশুকে টিকা দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে সোয়া দুই কোটি শিশুকে সাড়ে চার কোটি টিকা দেওয়া। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শিশুদের এই টিকা কার্যক্রম সারাদেশে চালু হবে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের মোট আড়াই লাখ লোক কাজ করছে। এর মধ্যে কেবল ৬০ হাজার কর্মী টিকা প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের মধ্যে জনসংখ্যার তুলনায় সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছি কারণ আমাদের ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট ভালো ছিল। আমাদের জনগণ অত্যন্ত ভ্যাকসিন বান্ধব। যার ফলে আমরা মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের আওতায় এনেছি। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৭১ শতাংশেরও বেশি মানুষ। এখনও প্রথম ডোজ নেননি ৩৩ লাখ, দ্বিতীয় ডোজ ৯৪ লাখ মানুষ। বুস্টার ডোজ নিয়েছে ৪ কোটি অর্থাৎ ২৬ শতাংশ মানুষ।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদ পড়া সবাইকে আগামী ২৮ সেপ্টেস্বর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করার অনুরোধও জানান।
জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপে দেশের সব সিভিল সার্জনরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।