September 16, 2025
আঞ্চলিক

সাংবাদিক আজিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা উজড়কুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাজা মঈন উদ্দিন আক্তার হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাংবাদিক আজিম শেখকে আসামি করা হয়েছে। অথচ: ঘটনার সময় আজিম পেশাগত কাজে ব্যস্ত ছিল। যার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী রয়েছে। কিন্তু ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই এ মামলায় সাংবাদিক আজিম শেখকে আসামি করা হয়েছে। কল্পনাপ্রসূত এ মামলার কারণে প্রকৃত খুনিদের পার পেয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক আজিমের পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংবাদিক আজিম শেখের মা আমেনা বেগম। এ সময় তার স্ত্রী, ৩ বছরের শিশু কন্যা, বোন এবং শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক আজিম শেখ খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রবাহ পত্রিকার রূপসা প্রতিনিধি। এছাড়া তিনি রূপসা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৪ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় স্থানীয় ভরসাপুর বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাজা মঈন উদ্দিন আক্তার নিহত হন। এ হত্যাকান্ডের ৫ দিন পরও তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করেনি। কিন্তু নিহতের শ্বশুর সাহেব আলী আকুঞ্জি বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে রামপাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাংবাদিক আজিম শেখকে আসামি করা হয়েছে।
সাংবাদিক আজিম শেখের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মামলা আজিমের নাম দেখে আমরা বিষ্মিত ও হতবাক হয়েছি। এছাড়া ঘটনার সময় আমার ছেলে আজিম রূপসাতেই ছিল এবং সন্ধায় সে পত্রিকায় সংবাদ পাঠানোর কাজে রূপসা বাজারের একটি কম্পিউটার সেন্টারে ব্যস্ত ছিল। তার পাঠানো সংবাদ পর দিন দৈনিক প্রবাহ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যার প্রমাণ রয়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ ও সঠিক তদন্ত করলে সেটি প্রমাণিত হবে।
তিনি বলেন, একটি মামলার কারনে আমার ছেলে আজিম আজ নিরুদ্দেশ। তার ৩ বছর বয়সি একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে। শিশু সন্তানটি প্রতিদিন তার পিতাকে খুঁজে ফিরছে আর কান্নাকাটি করছে। আমরা সবাই বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, আমার ছেলে আজিমের নামে ইতিপূর্বে থানায় কোন মামলা, এমনকি জিডি পর্যন্ত নেই। এছাড়া মামলার এজাহারে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননা দিয়ে ভরসাপুরস্থ কমলের বাড়ির ভিতর থেকে বোমার ব্যাগ হাতে আজিম ও তার বাহিনী আসার যে কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত। আমরা এ হত্যা মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।
আমেনা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরাও চায় চেয়ারম্যান আক্তার হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হোক। প্রকৃত খুনিরা শাস্তি পাক। কিন্তু আজিমের মত নিরীহ কাউকে যেন হয়রাণি করা না হয়। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও বস্তুনিষ্ঠ লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীদের খুঁজে করা এবং আজিমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *