সহজ জয়ের আশাবাদ মোদীর
ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট আগের বারের চেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ওই ভোটররা মোট সাত দফায় ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম দফা ভোট গ্রহণ; তারপর ১৮ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ৬ মে, ১২ মে এবং সবশেষে ১৯ মে ভোট হবে। আগামী ২৩ মে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
মোদী শুক্রবার রিপালিক ভারত টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার জোটের সহজ জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক অ্যালিয়েন্সের বাকি অংশীদাররা আগের তুলনায় বেশি আসনে জয়লাভ করবে।”
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই বিজেপিজোট ২৮২টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল; প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে কোনো দলের জন্য যা প্রথম ছিল।
মোদীর দলকে হারাতে এবার ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ কয়েকটি দল জোট বেঁধেছে।
বিজেপি নেতাদের দুর্নীতি, কৃষিপণ্যের মূল্যের অস্বাভাবিক নিম্নগতি, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে উত্তেজনাসহ নানা কারণে জনগণের কাছে মোদীর জনপ্রিয়তা কমছে বলে বিভিন্ন সময় খবর বেরিয়েছে।
এ বছরের শুরুতেও বিভিন্ন জনমত জরিপে জাতীয় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল।
কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জনমত জরিপের পাল্লা মোদীর দিকেই ভারি বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মোদীর বিপক্ষে দাঁড় করানোর মত সুনির্দিষ্ট প্রার্থীও বিরোধীদের হাতে নেই।
এ বিষয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ইঙ্গিত করে মোদী বলেন, “হয়তো ২০২৪ সালে ‘মোদীর বিপক্ষে কে’ এই প্রশ্ন উঠতে পারে। ২০১৯ সালের জন্য জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে এবং তারা আর কাউকে খুঁজছে না।”
সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি দল জাইশ-ই-মোহাম্মদের হামলায় ৪০ জওয়ান নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল।
বিরোধী দলের অভিযোগ, মোদী রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করছেন।
সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করবে’ ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ইসলামাবাদের সঙ্গে কোনো ধরণের আলোচনা করবেন না।