শ্রীলংকায় চার্চ ও হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ : নিহত ১৫৬
শ্রীলংকায় আজ রোববার ইস্টার সানডে পালনকালে তিনটি হোটেল ও তিনটি চার্চে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৫৬ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৫ জন বিদেশী নাগরিক রয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এ হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে এর নিন্দা জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন।
বিস্ফোরণের ধরণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। কোন গোষ্ঠী বা সংগঠন এই হামলার দায়িতও¡ স্বীকার করেনি।
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এক বক্তৃতায় বলেন, এই হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত।
তিনি সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কলম্বোর সেন্ট এন্থনী’স শ্রিন চার্চ ও রাজধানীর বাইরে নেগোম্বো শহরের সেন্ট সেবাস্টাইন’স চার্চে প্রথম বিস্ফোরণ দু’টি ঘটে।
সেন্ট অ্যান্থনীতে বিস্ফোরণে হতা-আহতদের ভিড়ে সকালে কলম্বো ন্যাশনাল হসপিটাল ভরে যায়।
বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, রাজধানীর তিনটি হোটেলে ও বাট্টিকালোয়ার একটি চার্চেও হামলা চালানো হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে একটি হোটেল হচ্ছে চিন্নামোন গ্র্যান্ড হোটেল। এটি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে অবস্থিত।
হোটেলের একজন কর্মকর্তা বলেন, হোটেলের রেস্তোরাঁয় এ বিস্ফোরণ ঘটে।
বাট্টিকালোয়া হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের পর ৩ শতাধিক লোককে আহত অবস্থায় এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীলংকার মিনিস্টার অব ইকোনোমিক রিফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন হার্শা ডি সিলভা এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘কয়েক মিনিটের মধ্যেই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দয়া করে শান্ত থাকুন। ঘরের বাইরে বেরুবেন না।’
এদিকে দেশটির পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুন্দরা দিন দশেক আগেই হামলার বিষয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছিলেন। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রধান গীর্জাগুলোতে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করা হচেছ উল্লেখ করে ওই সতর্ক বার্তায় আরো বলা হয়, একটি উগ্রপন্থী মুসলিম গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত (এনটিজি) গীর্জা ছাড়াও কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশনেও হামলা চালানোর ছক করছে।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রীলংকায় মাত্র ছয় শতাংশ লোক ক্যাথলিক খ্রিষ্টান।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব এই ইস্টার সানডে। গীর্জাগুলোতে বিশেষ প্রার্থনার সময়ে হামলাগুলো চালানো হয়।