শেরপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও প্রচার, প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
শেরপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ছড়ানোর মামলায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদের জেল-জরিমানা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মো. আখতারুজ্জামান। দÐিত মানিক মিয়া (৩২) সদর উপজেলার বেসরকারি বিদ্যালয় ডুবারচর মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক। তিনি ডোবারচর দক্ষিণপাড়ার মৃত হায়দার আলীর ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদÐ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, যা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর দায়ে পর্নোগ্রাফি আইনে তিন বছর সশ্রম কারাদÐ ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদÐ, যা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ দেওয়া হয়।
মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর ডোবারচর মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক মানিক মিয়া অতিরিক্ত কোচিংয়ের কথা বলে আটকে রেখে প্রলোভন দিয়ে ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে (১২) অফিস কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সেইসঙ্গে কৌশলে ধর্ষণের নগ্ন ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। ওই কৌশলে ওই ছাত্রীকে তিনি একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, এরপর ওই ছাত্রী ২০১৮ সালে পাশের কামারের চর পাবলিক স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এরপরও ওই শিক্ষক আবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন; কিন্তু মেয়েটি তা প্রত্যাখ্যান করে। তখন ওই শিক্ষক আগে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও এলাকায় বিভিন্ন জনের মোবাইলে ছড়িয়ে দেন।
পিপি জানান, ওই ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মানিক মিয়াসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২/৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরপরই গ্রেপ্তার হন মানিক মিয়া। সদর থানার এসআই কামরুল হাসান ২০১৮ সালের ২১ মে তদন্ত শেষে মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।