শহীদ বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত
বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ
দ: প্রতিবেদক
খুলনায় বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন ও সংস্থার উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে নগরীর গলামারি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসন: খুলনায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
দিবসটির তাৎপর্য তুলেধরে অতিথিরা বলেন, পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে যখন বুঝতে পারে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখন বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করার নীল নকশা তৈরি করে। এজন্য ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব থেকে তালিকা করা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে যেত। সেদিনের সেই পরাজিত শক্তির দোসররা যেন এদেশে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য বুদ্ধিজীবীদের আত্মহুতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ এহসান শাহ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান, অন্যতম সংবিধান প্রণেতা অ্যাডভোকেট এনায়েত আলী, সাবেক মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার মাহবুবুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী প্রমুখ। খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান।
মহানগর ও জেলা বিএনপি: বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার মধ্যদিয়ে বাঙালী জাতিকে পঙ্গু করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। স্বাধীনতা যখন সন্নিকটে তখনি হানাদার বাহিনী ‘৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মরণ কামড় দিয়ে জন্মের পূর্বেই বাংলাদেশকে মেরুদ্বন্ডহীন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কারণ সেদিন ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রæমুক্ত করা হয়েছিল। এসেছিল বিজয়; পেয়েছিলাম নিজস্ব পতাকা ও একটি স্বাধীন মানচিত্র।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ দোয়া মাহফিলের পূর্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করেছে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি। এ দিন সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারআগে দিবসের প্রথম প্রহরে গল্লামারীস্থ স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এসএম শফিকুল আলম মনা, মনিরুজ্জামান মনি, শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, আমীর এজাজ খান, ডাঃ গাজী আব্দুল হক, শেখ মোশাররফ হোসেন ও অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম। আলোচনায় বক্তারা শহীদদের অসাধারণ অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন। সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মীর কায়সেদ আলী, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, সৈয়দা রেহানা ঈসা, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শাহ জালাল বাবলু, এ্যাড. আব্দুল আজিজ, এ্যাড. শরিফুল জোয়াদ্দার খোকন, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, এ্যাড. মোল্যা মাসুম রশিদ, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মোঃ মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, এ্যাড. শহিদুল আলম, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আজিজুল হাসান দুলু, এ্যাড. গোলাম মওলা, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, মুজিবর রহমান, শেখ সাদী, খায়রুল ইসলমা জনি, সুলতান মাহমুদ, সাজ্জাদা আহসান পরাগ, একরামুল হক হেলাল, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজমুস সাকিব পিন্টু, মিজানুর রহমান, শরিফুল ইসলাম বাবু, হেলাল আহমেদ, ওয়াজউদ্দীণ সান্টু, আনিসুর রহমান, শাহনাজ ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন আসাদুজ্জামান মুরাদ।
সভা শেষে বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনার সাথে সাথে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তাঁর কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোসহ বিএনপির মরহুম সকল নেতাকর্মীর জন্যও দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল মান্নান।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল ৯টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অদম্য বাংলায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপরই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, বিভিন্ন আবাসিক হল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, খুবি অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, খুবি কর্মচারীবৃন্দ ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সুদূর অতীত থেকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীতে বুদ্ধিজীবীদের ভ‚মিকা ও নানা উদাহরণ, প্রসঙ্গ তুলে ধরে সারগর্ভ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান, সহযোগী অধ্যাপক রুবেল আনছার। এ সময় বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সন্ধ্যায় শহিদ মিনার ও অদম্য বাংলা চত্ত¡রে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। এর আগে সকাল ৮-৩০ টায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ ভবনের সম্মুখে কালোব্যাজ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের প্রাক্কালে শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
কুয়েট: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবন, ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের বাসভবন এবং আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা (অর্ধনমিত) এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দের অংশগ্রহণে শোক-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। শোক-র্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।
র্যালী শেষে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।
চলতি দায়িত্বরত পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এবং অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রেজিস্ট্রার জি. এম. শহিদুল আলম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. এ বি এম মহীউদ্দিন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সভাপতি জি এম মনিরুজ্জামান, কর্মচারী সমিতির (৩য় শ্রেণী) সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরুল ইসলাম, কর্মচারী সমিতির (৪র্ত শ্রেণী) সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পাবলিক রিলেশনস অফিসার মনোজ কুমার মজুমদার।
খুলনা প্রেসক্লাব: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব। সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী। সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং সভা শেষে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, ক্লাবের সাবেক সদস্য সচিব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি মোঃ রাশিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, কোষাধ্যক্ষ রফিউল ইসলাম টুটুল, সহকারী সম্পাদক এম এ জলিল, নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে ও মোস্তফা জামাল পপলু, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাঈয়েদুজ্জামান স¤্রাট, ক্লাব সদস্য মোঃ হুমায়ুন কবীর, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, আলমগীর হান্নান, বাপ্পী খান, গাজী মনিরুজ্জামান, বিমল সাহা, ইউজার সদস্য মোঃ রকিবুল ইসলাম মতি, সোহাগ দেওয়ানসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ক্লাবের নেতৃবৃন্দ গল¬ামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কেইউজে: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইউনিয়ন কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য মোঃ সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, সিনিয়র সাংবাদিক এ কে হিরু, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী, ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, বর্তমান সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল ও বিমল সাহা, সদস্য মোস্তফা জামাল পপলু, কৌশিক দে, বাপ্পি খান, সুনীল দাস, জাহিদুল ইসলাম, গাজী মনিরুজ্জামান, নাজমুল হাসান প্রমুখ।
সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং সভার শেষে রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে নগরীর গলামারি স্মৃতিসৌধে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতি : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে নব নির্বাচিত জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। গতকাল শনিবার বিকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমিতি কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. মো. এনামুল হক, এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, এ্যাড. শিকদার হাবিব, এ্যাড. সাজ্জাদ আলী, এ্যাড. আনোয়ারা মমতাজ আন্না, এ্যাড. কে এম মিজানুর রহমান, এ্যাড. শফিকুল আলম, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, এ্যাড, জেসমিন পারভিন জলি, এ্যাড, আফরোজা রজি, এ্যাড, রেহানা চৌধুরী, এ্যাড. আবু নিক্সন, এ্যাড. আশরাফুল আলম পাপ্পু, এ্যাড, খোরশেদ, এ্যাড. আসাদুজ্জামন মিলন, এ্যাড. মো. আইযুব হোসেন, এ্যাড. নওসিন রহমান, এ্যাড. আলমগীর বিশ্বাস, এ্যাড. মো. মাসুম বিল্লাহ, এ্যাড. সাম্মি আক্তার, এ্যাড. আব্দুস সফিক মোল্লা জনি, এ্যাড. কুদ্দুস, এ্যাড. প্রোজেশ রায়, এ্যাড. শেখ মুরাদ হোসেন, এ্যাড. আরাফাত হোসেন, এ্যাড. আব্দুল আজিজ, এ্যাড. বিধান, এ্যাড. সারমিন, এ্যাড মনোজিত, এ্যাড. হেমায়েত, এ্যাড. আবু বক্কর নাইম, এ্যাড. উল্যাস কর, এ্যাড. স্বজীব বৈরাগী, এ্যাড. পরিমল, এ্যাড. আব্দুল করিম প্রমুখ।
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি: নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে পালন করা হয়। এ দিন সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র,শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করেন। বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অংশ গ্রহণে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে পুষ্প স্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নওশের আলী মোড়ল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. তারাপদ ভৌমিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সুধীর কুমার পাল, রেজিস্ট্রার মোঃ শহীদুল ইসলাম।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকমন্ডলী, প্রক্টর, সহকারি প্রক্টর, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) এবং শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা শহীদদের অসাধারণ অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন। বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক শুভ দেব।
বিটিএ খুলনা অঞ্চল: গতকাল সকাল ১০:৩০টায় গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭ম তলায় অডিটরিয়ামে খুলনা অঞ্চল কমিটির সভাপতি ধীমান চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও অঞ্চল সেক্রেটারী মিয়া তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কমিটির প্রথম সভা ও পাশাপাশি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির বর্ষিয়ান নেতা, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা এফ এম মাকসুদুর রহমান।
প্রধান অতিথি হিসেবে বিটিএ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়া, প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার আলী শেখ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায় বিশেষ অতিথিবৃন্দ ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দীয় ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোঃ আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, খুলনা মহানগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লিয়াকত হোসেন, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন শেখ, এস এম সোহেল রানা, মোঃ হুমায়ুন কবীর, সুপার্থ মণ্ডল, মোঃ মাহবুবুর রহমান, এস এম ফয়সাল রহমান, আজিজা সুলতানা, মোঃ শফিউল আজম, মোঃ মোশাররফ হোসেন, জ্যোতিশ্বর ঢালী, মোঃ শহিদুল ইসলাম, হারুন অর রশীদ, শেখ রেজাউল করিম, শেখর ফৌজদার, মোঃ হাকিকাতুল ইসলাম, দেবাশিষ হালদার, জাফরোজা খানম, খালেদা ইয়াসমিন, তরুণ কান্তি ঢালী, রাজিব বাছাড়, সোনিয়া খানম, বুলবুল আকতার, মোঃ আবুল হাসান, পিযূষ কান্তি মল্লিক, আসমা খাতুন, মোসাঃ তাছলিমা খাতুন, স ম মোক্তার আলী, বিন্দু প্রসাদ, এস এম হাবিব, জিয়াউর রহমান স্বাধীন প্রমুখ।
ওয়ার্কার্স পার্টি: গতকাল বিকেল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। ’৭১-এর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিবরতা পালন করার পর আলোচনা সভা শুরু করা হয়।
পার্টির জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড কামরুল আহসান, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দিপঙ্কর সাহা দিপু। আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, কমরেড মনির আহমেদ, কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য কমরেড মনিরুজ্জামান, ছাত্র মৈত্রীর জেলা নেতা জগদীশ মণ্ডল, বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল, আরাফাত ইসলাম প্রমুখ। সভায় দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত যুদ্ধাপরাধী ফাঁসি প্রাপ্ত কসাই কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ বলায় তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে সংগ্রাম পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধের জোর দাবি করা হয়।
নগর যুবলীগ : বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে খুলনা মহানগর যুবলীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।
মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশের নেতৃত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগ নেতা এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, আব্দুল কাদের শেখ, কাজী কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম দুলু, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, মোস্তফা শিকদার, জুয়েল হাসান দিপু, কাজী ইব্রাহিম মার্শাল, মহিদুল ইসলাম মিলন, মশিউর রহমান সুমন, মেহেদী হাসান মোড়ল, কে এম শাহীন, ইয়াসিন আরাফাত, রাশেদুজ্জামান রিপন, আব্দুল মালেক সহ খুলনা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নগর ছাত্রলীগ: বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ। মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেলের নেতৃত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগ নেতা এস এম মাসুদ হোসেন সোহান, মাহামুদুল হাসান সুজন, জাহিদুর রহমান জাহিদ, রহমত সরদার, আব্দুস সালাম, সোহান হোসেন শাওন, তায়েজুল ইসলাম তাজ, ইবনুল হাসান, মাহামুদুর রহমান রাজেশ, তরিকুল ইসলাম তুফান, এম এ হোসেন সবুজ, আহনাফ অর্পন, সাগর মিত্র চিন্ময়, জনি বসু, নিশাত ফেরদৌস অনি, রুমান আহমেদ, সাজু দাস, পারভেজ শিকদার, জিসান আরাফাত, সাইফুল ইসলাম, সংকর কুন্ডু, প্রিতম সাহা, মেহেদী হাসান রাজু, অভিজিৎ সরকার রাহুল, ওমর কামাল, মিজানুর রহমান মিজান, মো: রফিকুল ইসলামসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রায়েরমহল কলেজ: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রায়েরমহল কলেজ ও হ্যানে রেলওয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভা স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ ড. আবুল কালাম আজাদ। শরিফা খাতুনের পরিচালনায় অন্যান্যেও মধ্যে আলোচনা রাখেন মলয় কুমার চ্যাটার্জী, হেমায়েত হোসেন, শাহিনুর রহমান, শাহজাহান আলী, মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে স্কুলে গেটে স্থাপিত গণহত্যা স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
২নং ওয়ার্ড আ’লীগ: শহীদ বুদ্ধিজিবি দিবস উপলক্ষে কেসিসি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আলোচনাসভা গতকাল সন্ধায় ফুলবাড়ীগেট দলিয় কার্যালয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শাকিল আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এফ এম জাহিদ হাসান জাকিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন শেখ আব্দুর রশিদ, সেকেন্দার আলী, লিয়াকত মুন্সি, রতন মোল্যা, আবুল কালাম, রবিউল ইসলাম, নারগিস খানম, শেখ ইমরান, বিল্লাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, মুন্সি কাশেম, জহিরুল ইসলাম পান্নু, মোঃ হানিফ, হারান প্রমুখ।
জেলা জাপা : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টির খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে বেলা ১১টায় ডাকবাংলাস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন যুব সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা এস এম এশাদুজ্জামান ডলার।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক এম হাদী উজ-জামান এবং পরিচালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক জি এম বাবুল। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মোঃ ইসমাইল খান টিপু, মাওলানা এস এম আল-জোবায়ের, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন হাওলাদার, শেখ সাদী, শাহজাহান আলী সাজু, শাহরিয়ার নাজিম, রহমত আলী খান, এড. লুৎফর রহমান, সরদার জিয়াউল হক জিয়া, শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, প্রিন্স হোসেন কালু, মোল্লা সাইফুল ইসলাম, শহীদুল কাদির উৎসব, তৈইমুর হোসেন শাহীন, মোঃ কালাচাঁন, অর্প্বূ দত্ত নেকী, গাজী খোকন প্রমুখ।
জাতীয় যুব সংহতি : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব সংহতি, খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে বেলা ১২টায় ডাকবাংলাস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় যুব সংহতি, খুলনা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম বাবুল।
প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদুজ্জামান ডলার, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর সহ-সভাপতি প্রিন্স হোসেন কালু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহিদুল কাদির উৎসব, শাহজাহান আলী সাজু, মাজহার জোয়ার্দ্দার পান, অপূর্ব দত্ত নেকী, এজাজ আহমেদ, গাজী খোকন, গাজী মোশাররফ প্রমুখ।