শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে পিবিআই
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
চুরির সন্দেহে সাংবাদিকদের আটকে রাখার ঘটনায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন বিচারক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব রহমান গত ২৪ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দাখিল করেন। সেখানে বলা হয়, তদন্তে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেই নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান, যার ওপর শুনানি শেষে সোমবার অধিকতর তদন্তের আদেশ এলো।
গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন শমী কায়সার। বক্তব্য শেষে কেক কাটার পর তার দুটি স্মার্টফোন আর যথাস্থানে পাননি বলে জানান তিনি।
এরপর মিলনায়তনের মূল দরজা বন্ধ করে প্রায় অর্ধশত সাংবাদিককে আটকে রাখা হয়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে মিলনায়তনে একাধিক সাংবাদিকের ব্যাগ তলাশি করেন শমী কায়সারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
তখন শমী কায়সার সাংবাদিকদের ‘চোর’ সম্বোধন করেছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক নুজহাতুল হাসান। ঘটনার ছয় দিন দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় করা এ মানহানি মামলায় তিনি ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, শমী কায়সারের কথা ‘ভুল বুঝেছেন’ ওই স্থানে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা। পরে শমী কায়সার অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করেন, যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তারপরও বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সার্বিক তদন্তে বিবাদী শমী কায়সার কর্তৃক বাদীর মানহানির কোনো ঘটনা ঘটে নাই মর্মে প্রকাশ পায়।