বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস
জনসমাগমের মতো অনুষ্ঠানগুলো বাদ
দ. প্রতিবেদক
জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠানগুলো বাদ রেখে খুলনায় ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সংশোধিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খুলনা জেলা প্রশাসন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
নতুন কর্মসূচি জানাতে খুলনা জেলা প্রশাসন গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় সার্কিট হাউজে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করে। প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এহসান শাহ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, ১৭ মার্চ ফজর নামাযের পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, ১৫ আগস্টের শহিদবৃন্দ, সমগ্র দেশবাসি এবং করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসিকে হেফাজতের লক্ষ্যে দুই হাজার ৩৮১ জন হাফেজ এক হাজার ২০০ কোরান খতমের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হবে। সকাল আটটায় খুলনা বেতার কেন্দ্রে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সকাল সোয়া আটটায় খুলনা সার্কিট হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে আটটায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেক কাটা উৎসব চলবে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে আতশবাজির আয়োজন করা হবে।
আলোচনা সভা এবং র্যালি বাদ রেখে পূর্বে গ্রহণ করা অন্যান্য কর্মসূচিও পালন করা হবে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে শুধুমাত্র রাত নয়টায় এক মিনিটের জন্য সকল বাতি নিভিয়ে বø্যাক আউট পালন করা হবে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে কুচকাওয়াজ, মাঠে সমাবেশ, মুক্তিযোদ্ধাদের সামাবেশ এবং আলোচনা সভা বাদ রেখে অন্যান্য কর্মসূচি উদযাপন করা হবে। গল্লামারি শহিদ স্মৃতি সৌধে ব্যাপক সমাগম না ঘটিয়ে যার যার মতো করে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে।