ফেসবুকে ‘মন্তব্য’: ছাত্রকে গ্রেপ্তার করতে বলল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ইসলামপন্থি একটি সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফরহাদ হোসাইন ফাহাদ বলছেন, যে মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা তিনি করেননি। তাকে ফাঁসানোর জন্য তার নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে এটা করা হয়েছে।
ফাহাদকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার কোতয়ালি থানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ওকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা আমাদের এখান থেকে পুলিশকে চিঠি পাঠিয়েছি। একাডেমিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আমরা ভাবছি। এ নিয়ে আবার আমরা বসব।
ওই শিক্ষার্থী মন্তব্যগুলো তার নয় বলে দাবি করার পরও কেন তাকে গ্রেপ্তার করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে প্রক্টর নূর বলেন, এই কমেন্টগুলো সে করেছে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। সে ইসলামবিরোধী কথাবার্তা বলেছে বলে আমরা পুলিশকে তাকে গ্রেপ্তার করতে বলেছি।
গত সপ্তাহে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ফেসবুকে পেইজে শেয়ার করা নিউজের নিচে ‘ফরহাদ এইচ ফাহাদ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে করা মন্তব্যের একটি স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফাহাদের ‘ফাঁসির’ দাবিতে কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করে আসছে ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।
তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাও। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা নূর-ই-আলম ফাহাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আরেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুজ্জামান খান শামীম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে আবেদন করেছেন। এসব তৎকারণে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পুলিশকে এই চিঠি দেওয়ার আগেই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন ফাহাদ।
স¤প্রতি তিনি বলেন, আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে এখন আমি সব ফোন রিসিভ করি না। চেনা না হলে কারো ফোন ধরছি না। ফেসবুকেও বিভিন্ন গ্র“পে আমার নামে যা-তা লেখা হচ্ছে। আমাকে কোপাবে, এই টাইপ। আমি তো দূরে আছি, নেটেও তেমন ঢুকছি না। নানাভাবে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।