ফণী মোকাবিলায় ‘সমন্বিতভাবে’ কাজ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশে আঘাত হানার আগেই মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সব সংস্থা ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার গতির ঝেড়ো হাওয়া সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকাল ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। শুক্রবার মধ্যরাতের দিকে এ ঝড় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে।
লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী দেশের পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তিনি তার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেনে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।”
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ৪ লাখ ৪ হাজার ২৫০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল।
দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সন্ধ্যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর ২১ থেকে ২৫ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী সরকারের সকল সংস্থা এবং বেসরকারি সংগঠনগুকে সমন্বিতভাবে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশনা মোতাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবলিরাও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়ছে।”
সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও কোস্টর্গাডসহ সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তার নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো ইতোমধ্যে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য আঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।”
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান উপকূলবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর র্কাযালয় শুক্র ও শনিবার খোলা রাখা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।