প্রাথমিকে সরাসরি আর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নয় : মন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুযোগ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। গতকাল সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকেই পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে ঢাকা পিটিআই-এর কনফারেন্স হলে ‘উদ্ভাবনী মেলা ও শোকেসিং-২০১৯’ অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক হিসেবে সরাসরি নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি তুলে দেব আমরা। সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকেই পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষক করা হবে। তবে এর আগে শিক্ষকদেরকে পাঠদানে মনোযোগী হওয়া অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের ৬৩ হাজার ৬০১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৬৬ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এতেদিন ৬৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের বিধান ছিল।
কিন্তু বিপুল সংখ্যক সহকারী শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে থাকায় তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটিয়ে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রধান শিক্ষক অথবা সহকারী থানা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধিদপ্তরের মনিটরিং সিস্টেম মজবুত করতেও সভায় নির্দেশনা দেন।
২০১৩ সাল থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইনোভেশন কর্মকাণ্ড শুরু হয়। নাগরিক সেবা প্রদান, নৈতিকতা বিকাশ এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা- এই তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মূলত উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো নিয়ে কাজ করা হয়।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১১৫টি উদ্ভাবনী আইডিয়া পাওয়া গেছে, যার মধ্যে এবারের মেলায় প্রদর্শিত হয় ১৫টি। এসব আইডিয়ার অধিকাংশই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির।