নারী ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতন মামলা দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে
নগরীতে মানববন্ধনে বক্তারা
নারী ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতন মামলা দ্রæত বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। যার কারণে নতুন নতুন হত্যাকান্ড তৈরী হচ্ছে। খুলনার গৃহবধূ তন্বী, সিলেটের ছাত্রী তনু ও খানজাহান আলী থানার গৃহবধূ জোয়ানা আকতার উষা হত্যাকান্ড একসূত্রে গাথা।
আসামীরা বহল তবীয়তে ঘুরে বেড়ানো কারণে স্বাক্ষীরা নিবিঘেœ স্বাক্ষ্য দিতে পারছে না। এ অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। আসামীদের দ্রæত বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। কোনভাবে যেন পার না পায় প্রকৃত দোষীরা। এভাবে বললেন নাগরিকদের মানববন্ধনে বক্তারা।
গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তন্বী স্মৃতি সংরক্ষণ কামিটি, জনউদ্যোগ, খুলনা, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, সেফ ও কনসেন্স এর উদ্যোগে তন্বী হত্যার ৪র্থ বছর উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নারী নেত্রী শামীমা সুলতানা শীলু। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। সুচনা বক্তব্য দেন তন্বীর মামা মো: আসাদুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড: কুদরত-ই-খুদা, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাড: মোমিনুল ইসলাম সিপিবির মহানগর কমিটির সভাপতি এইচ এম শাহাদৎ, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্পাদকমন্ডলী সদস্য মফিদুল ইসলাম, মনির আহমেদ, নারী নেত্রী মনিরা সুলতানা, তন্বীর ফুফু জেসমিন আরা, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, আফজাল হোসেন রাজু, আমরা খুলনাবাসীর ডা: মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম চন্দন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, গৃহবধূ তন্বী হত্যা সিলেটের তনু একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড তাই এই মামলাগুলো দ্রæত বিচারে আনা প্রয়োজন। নেতৃবৃন্দ খানজাহান আলী থানার গৃহবধূ জোয়ানা আকতার উষা হত্যার সাথে জতিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।