ছাতকের শিশু ইমন হত্যায় চার জনের প্রাণদণ্ড
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সুনামগঞ্জের ছাতকে চার বছর আগে শিশু শ্রেণির ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে চার আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম বুধবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে ছাতকের ব্রাহ্মণজুলিয়া গ্রামের মসজিদের ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজন (২৮), নোয়ারাই গ্রামের জায়েদ আহমদ (২৭) ও রফিকুর রহমান (৩৩) রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ (২৪) মামলার শুরু থেকেই পলাতক। সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি চার আসামির প্রত্যেককে বিচারক ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন বলে এ আদালতের পিপি কিশোর কুমার জানান। ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ইমন লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে পড়ত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ আসামিরা ইমনকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু তা না পাওয়ায় শিশুটিকে তারা হত্যা করে। ওই বছরের ৮ এপ্রিল মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়। বাতিরকান্দি হাওড় থেকে উদ্ধার করা হয় ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড়।
এ ঘটনায় ইমনের বাবা জহুর আলী ছাতক থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকতা মঞ্জুর মোর্শেদ। বাদীপক্ষে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শেষে গত ৫ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।