December 22, 2024
জাতীয়

কুষ্টিয়ায় শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, চাচির যাবজ্জীবন

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় এক বছর আগে তিন মাসের এক শিশুকে অপরহরণের পর হত্যা মামলায় তার বাচিকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছে আদালত। গতকাল রবিবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দÐিত শাপলা রানী দাস (২২) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দাসপাড়া গ্রামের বিশু কুমার দাসের স্ত্রী। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি বিচারক তাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছন। অনাদায়ে তাকে আরও এক বছরের সাজা ভোগ করতে হবে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি বেলা ১২টায় উপজেলার আলামপুর দাসপাড়া গ্রামের মানিক কুমার দাসের তিন মাস বয়সী মেয়ে মুক্তা রানী দাসকে ঘরের বারান্দা থেকে নিখোঁজ হয়। রাতে বাড়ির পাশ থেকে মুক্তার লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। ঘটনার পরদিন শিশুটির দাদা সুনীল কুমার দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিরদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অপহরণের পর হত্যা মামলা করেন।

মামলার বরাতে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী বলেন, এ হত্যাকাÐের কয়েক বছর আগে মানিক কুমার দাসের চাচাত ভাই বিশু কুমার ও শাপলা রানী দাসের ছেলেকে মুক্তা রানীর দাদি গোলাপী রানী দাস গোসল করিয়ে দেন। পরে শিশুটি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

এতে শাপলা রানী দাসের বিশ্বাস যে, গোলাপী রানীর গোসল করানোর জন্যই তার শিশুর মৃত্যু হয়। এই ক্ষোভ থেকে শাপলা প্রতিশোধ নিতে মুক্তাকে হত্যা করেন। তদন্ত শেষে কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই রব্বানী সরকার ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ শাপলা রানীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচার শুরু করে আদালত। আসামি শাপলা রানী দাসের যেহেতু দুইটি নাবালোক শিশু সন্তান আছে, এ বিবেচনায় তাকে মৃত্যুদÐের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী জানান।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *