করোনাভাইরাস: খালেদামুক্তির কর্মসূচি স্থগিত করল বিএনপি
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বুধবার সারাদেশে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি বিএনপি দিয়েছিল, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে তা স্থগিত করেছে দলটি।
মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “সকল মহানগর ও জেলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু মুক্তির দাবিতে আমরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটায় জনসমাবেশে আগতগণ যাতে এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়তে না হয়, সেজন্য আগামীকালের ওই কর্মসূচি আমরা আপাতত স্থগিত ঘোষণা করছি।”
করোনাভাইসরাসে আক্রান্ত রোগীদের আশু আরোগ্য কামনা ও এই রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানান ফখরুল।
দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের করোনাভাইরাসে প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দুঃস্থ রোগীদের সুচিকিৎসা এবং রোগ প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সরঞ্জাম নিয়ে জনগণের পাশের থাকার জন্য আমি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় এক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না দাবি করে জামিনে তার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছেন বিএনপি নেতারা।
এই দাবিতেই গত শনিবার ঢাকাসহ জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন মির্জা ফখরুল।
কিন্তু রোববার আইইডিসিআরের এক সংবাদ সম্মেলনে দেশে প্রথমবারের মত তিনজনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয়। এরপর সারকারি-বেসরকারি নানা পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি স্থগিতের হিড়িক পড়ে যায়।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, হাবিবুল ইসলাম হাবিব মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, শওকত শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।