করোনাভাইরাসে চীনে এক আমেরিকানের মৃত্যু
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের উহানের একটি হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। ৬০ বছর বয়সী ওই আমেরিকান জিনইনতান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন; বৃহস্পতিবার সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে শনিবার বেইজিংয়ের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একজন মুখপাত্র জানান।
মৃতের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি আমরা। ওই পরিবারের গোপনীয়তার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা এর চেয়ে বেশি কিছু বলছি না, বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন ওই মুখপাত্র। প্রাণঘাতী এ করোনাভাইরাসে শনিবার পর্যন্ত চীনে ৭২২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে উহানের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক জাপানি নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই জাপানি নাগরিকের দেহে করোনাভাইরাস ছিল কি না, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পরীক্ষায় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শুক্রবার একদিনের ব্যবধানে চীনে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত আরও ৮৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমে (সার্স) মৃতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০০২-০৩ সালে সার্সে বিশ্বব্যাপী ৭৭৪ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করা হয়েছিল। সেবার আক্রান্ত হয়েছিল ৮ হাজারের সামান্য বেশি। সার্সের তুলনায় নতুন এ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের অনুপাতে মৃত্যুর হার অনেক কম। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৭ বিদেশির চীনে চিকিৎসা চলছে বলে দেশটির সরকারি হিসাবে জানানো হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত নতুন এ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
চীনের বাইরে ২৭টি দেশে নিউমোনিয়া সদৃশ এ রোগে আক্রান্ত ৩৩২ জনের সন্ধান মিলেছে; এর মধ্যে ফিলিপিন্স ও হংকংয়ে দুইজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তারা দুজনও চীনের নাগরিক।
নভেল করোনাভাইরাসটির সংক্রমণ কতটা বিষাক্ত তা বলা কষ্টকর। হিসাব অনুযায়ী আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ২ জনের মৃত্যু হচ্ছে দেখা গেলেও এখনও অনেক আক্রান্ত পরীক্ষার বাইরেই থেকে যেতে পারে। ঠিক কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তা সম্ভবত কিছু সময় অতিক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বলতে পারব না আমরা, বলেছেন মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোগ সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যালেন চেং।