ওয়ানডে মর্যাদা পেল যুক্তরাষ্ট্র ও ওমান
ক্রীড়া ডেস্ক
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একসময় খেলেছেন ২৭টি ওয়ানডে। ইনিংসে ১২ ছক্কার রেকর্ডও গড়েছিলেন। সময়ের পরিক্রমায় সেই জেভিয়ার মার্শাল থিতু হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তার হাত ধরেই তার নতুন দেশ পেল বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন পরিচয়। প্রায় চার যুগ ধরে আইসিসির সদস্য হয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার পেল ওয়ানডে মর্যাদা। একই দিনে একই অর্জনের উচ্ছ¡াসে ভেসেছে ওমান।
নামিবিয়ায় বুধবার ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ ডিভিশিন টু-তে হংকংকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করে ওয়ানডে মর্যাদা। এই ম্যাচের প্রায় ৪৫ মিনিট পর স্বাগতিক নামিবিয়াকে হারিয়ে একই স্বীকৃতি নিশ্চিত করে ওমান।
বেসবলের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রিকেটের পরিচয় অনেক পুরোনো। ১৮৪৪ সালে কানাডার সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলেছিল তারা, যেটি স্বীকৃত দুটি দেশের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ হিসেবে। আইসিসির সদস্যপদ পেয়েছে তারা ১৯৬৫ সালে। আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ করে নিয়মিতই। ২০০৪ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদও পায় তারা। তবে বোর্ড ও প্রশাসনিক ঝামেলায় অনেক দিন থেকেই ভুগছে তাদের ক্রিকেট। স¤প্রতি সেই জটিলতা অনেকটাই কমেছে। সেটির সুফলই হয়তো মিলল মাঠের ক্রিকেটে।
উইন্ডহুকে ইউনাইটেড ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে মার্শালের ১০০ ও স্টিভেন টেইলরের ৮৮ রানে যুক্তরাষ্ট্র তুলেছিল ৫০ ওভারে ২৮৮। হংকং থমকে যায় ১৯৬ রানে। বিপিএল খেলে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পেসার আলি খান নেন একটি উইকেট।
এই মার্শাল ২০০৫ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছেন ৭ টেস্ট, ২৪ ওয়ানডে ও ৮টি টি-টোয়েন্টি। ২০০৮ সালে কানাডার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ১১৮ বলে ১৫৭ রানের ইনিংসের পথে রেকর্ড গড়েছিলেন ১২ ছক্কায়। পরে দলে জায়গা হারান, পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির হয়েই সামনে হয়তো ওই ওপেনারকে আবার দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
দিনের আরেক ম্যাচে নামিবিয়াকে ৪ উইকেটে হারায় ওমান। চার বছর আগে আয়ারল্যান্ডে নামিবিয়াকে হারিয়েই টি-টোয়েন্টি মর্যাদা পেয়েছিল ওমান। পরে খেলেছিল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত তারা খেলেছে ২০টি টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডে খেলা হয়নি এখনও। যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, হংকং, নামিবিয়ার সঙ্গে টুর্নামেন্টে খেলছে পাপুয়া নিউ গিনি ও কানাডা। আরও দুটি দলের সামনে সুযোগ আছে ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার।