এসব কথা পদত্যাগ করে বলুন, মাহবুব তালুকদারকে তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিজের পদে থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সংস্কার নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে হাছান বলেন, মাহবুব তালুকদারের উচিৎ ছিল কমিশন থেকে পদত্যাগ করে তারপর ওই কথাগুলো বলা।
“কারণ তিনি তার ব্যর্থতার কথা বা যেসব কথা বলেছেন, এগুলো পদে থেকে বললে আত্মপ্রবঞ্চনা হয়। এগুলো পদত্যাগ করে বললেই বরং সমীচীন হয়।”
সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হলেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কারণে ইসি অনেকটাই অসহায় বলে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন মাহবুব তালুকদার।
বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারের পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, “কেন নির্বাচন নিরপেক্ষ, শুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য হয় না? এ প্রশ্নের উত্তর আত্মজিজ্ঞাসার কারণেই আমাকে খুঁজতে হয়েছে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন আইনত স্বাধীন, কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে সেই স্বাধীনতা নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাছে বন্দি। এজন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার প্রয়োজন।”
এ বিষয়ে হাছান মাহমুদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং নির্বাচন কমিশনের ‘অনেক সংস্কার’ হয়েছে।
“ছবিযুক্ত ভেটার তালিকা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দাবি ছিল, সেই দাবির প্রেক্ষিতেই ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সেটি যুগের প্রয়োজনে, সময়ের প্রয়োজনে যে কোনো সময় হতে পারে।”
মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন বৈঠকে দ্বিমত পোষণ করলেও তাতে কমিশনের ‘স্বাভাবিক অবস্থা নষ্ট হয় না’ বলেই মনে করে হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “তিনি (মাহবুব তালুকদার) বিভিন্ন সময় এ ধরনের কথা বলে আলোচনায় থেকেছেন, এ ধরনের দ্বিমত পোষণ করে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করেছেন।”
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান বলেন, “আমরা সরকার গঠনের পর যেসব সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সেগুলো যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হত… আমরা বেশ কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলাম এবং বিএনপি অনেক ক্ষেত্রে জয়ী হয়েছিল।”
এবারের নির্বাচনও ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ’ হবে- এমন বিশ্বাসের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে, সে কারণে অনেক নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছি। বিএনপির অভিযোগ গৎবাঁধা। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।”