আশাশুনিতে বোরো ধানের বহু বীজতলা নষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক
আশাশুনি (সাতক্ষিরা) প্রতিনিধি
আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বহু কৃষিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলায় বুধহাটা, কুল্যা, কাদাকাটি, দরগাহপুর, বড়দল ও শোভনালীসহ অন্যান্য ইউনিয়নে ১৫ থেকে ২০ দিন পূর্বের কৃষি জমিতে ফেলানো বীজতলা ধানের বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।
বুধহাটা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের দাউদ হোসেন, নৈকাটি গ্রামের আবুল হাসেম মোড়ল, কুল্যা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের হারুন সরদার, বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্রামের ছাইদুর, বিল্লাল, সহিদ ও জালাল এ প্রতিবেদককে জানান, বিগত বছর গুলো থেকে এ বছর চড়া দামে বীজ কিনে বীজতলা তলা নষ্ট হওয়ায় আমাদের মত বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ। নিরোপায় হয়ে চড়া দামে চারা কিনে রোপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেকেই। চড়া দামের পরেও দুস্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে ধানের চারা। এখানেই শেষ নয় এত খরচ করে আমনের মত ধানের দাম কম হলে সেখানেও আমরা দ্বিতীয় দফায় ক্ষতিগ্রস্থ হবো। ঠান্ডার পাশাপাশি নিন্ম মানের বিজ বিভিন্ন ব্যান্ডের প্যাকেট জাত করে বিক্রি হওয়া এবং কৃষকরা অন্ধ বিশ্বাসে সেগুলো নিয়ে উন্নত চারা আশা করাও এ বীজতলা নষ্ট হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি কারন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত ঠান্ডা ও কিছু জমিতে লোনার প্রভাব দেখা দেওয়া বীজতলা নষ্ট হওয়ার কারন বলে মনে করছেন। ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বীজতলা রক্ষার জন্য প্রতিদিন বীজতলার ঠান্ডা পানি নিষ্কাষন করে নতুন পানি দেওয়া, ভোরে রশ্মি দিয়ে ধানের চারার উপরের কুয়াশা ফেলে দেওয়া এবং প্রয়োজনে শতক প্রতি ৪শত গ্রাম জিপসাম প্রয়োগের পরামর্শ কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। এছাড়া বীজতলায় লোনার প্রভাব দেখা দিলে ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। এজন্য বীজতলা তৈরীর পূর্বেই লোনার বিষয়টা মাথায় রেখেই জমি প্রস্তুত করতে হবে। বীজতলা তৈরীর পরে লোনা কেটে উঠলে জমির প্রকৃতির উপর নির্ভর করে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল হাসান। তবে স্থানীয় কৃষকরা যাতে বীজ বিক্রেতাদের ধোকায় না পড়ে এব্যাপারে সংশিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বীজ বিক্রেতাদের বা দিকে কড়া নজর রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।