আর্মড পুলিশ সদস্য মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
নগরীতে গৃহবধূ উষা হত্যাকাণ্ড
দ: প্রতিবেদক
নববধূর হাতের মেহেদীর আল্পনা মুছে যাওয়ার আগেই জীবন প্রদীপ নিভে গেলো সদ্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া পাইকগাছা কালিদাসপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন গাজীর কন্যা পাইকগাছা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্রী জোয়ানা আক্তার উষার। সংসার জীবনের শুরু করতে গত ২/১২/১৮ তারিখে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার জামালনগর গ্রামের জবেদ আলীর পুুত্র আর্মড পুলিশের নায়েক মাহমুদ আলীর সাথে। বিবাহের পর থেকে যে কোন কারণে শ্বশুর-শাশুড়ীর যেন পথের কাটা হয়ে দাড়ায় উষা। শেষমেষ গত মাসে উষাকে নিয়ে খুলনার বাদামতলার মনিরুল ফকিরের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে।
প্রতিবেশীরা জানান, পারিবারিক কলহ এবং অজ্ঞাতকারণে উষাকে প্রতিদিন ডিউটি যাওয়ার সময় ঘরের মধ্যে তালা লাগিয়ে বদ্ধ ঘরে বন্দি করে রেখে যেত মাহমুদ আলম। গত ৫ এপ্রিল রাতে উষাকে মারপিট করে সকালে ডিউটিতে যাওয়ার আগে তাকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে পাষন্ড স্বামী মৃত্যু নিশ্বিত করতে উষার গলার শ্বাসনালীতে কামড় দিয়ে পরীক্ষা করে সে জীবিত আছে কিনা। মৃত্যুর নিশ্চিতের পর মাহমুদ আলী প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিকভাবে অফিসে চলে যায়।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জি এম সোহেল ইসলাম বাদী হয়ে ঘাতক স্বামী মোঃ মাহমুদ আলম, তার পিতা জাবেদ আলী এবং মাতা লুৎফুন নেছার নামে ৩০২/৩৪ ধারায় খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেছে (মামলা নং ৪, তাং ৬/৪/১৯)।
গতকাল রবিবার ঘাতক স্বামীর ১৬৪ জবানবন্দির জন্য আদালতে প্রেরণ করেছে খানজাহান আলী থানা পুলিশ। অপরদিকে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ী পাইকগাছার বিষ্ণুপুর গ্রামে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে।