April 26, 2024
খেলাধুলা

আল-আমিন-রাজ্জাকের নৈপুণ্যে জয়ের দ্বারপ্রান্তে খুলনা বিভাগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে রাজশাহী বিভাগের ব্যাটিং লাইনে প্রথম আঘাতটা করেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর পেস ও স্পিনের যুগলবন্দীতে তাদের দিশেহারা বানিয়ে দেন আল-আমিন হোসেন ও আবদুর রাজ্জাক। তাদের বোলিং নৈপুণ্যে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে জয়ের দ্বারপ্রান্তে খুলনা বিভাগ।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে রাজশাহীর ২৬১ রানের পর গতকাল শনিবার ৩০৯ রানে করে অলআউট হয়েছে খুলনা বিভাগ। ৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে রাজশাহী অলআউট হয়েছে ১৭০ রানে। ফলে জয়ের জন্য মাত্র ১২৩ রানের লক্ষ্য পায় খুলনা। সেই লক্ষ্য তাড়ায় ১৫ রানে ১ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। শেষ দিনে কাঙ্খিত জয় পেতে হাতে ৯ উইকেট নিয়ে ১০৮ রান করতে হবে আবদুর রাজ্জাকের দলকে।

৬ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে খুলনা বিভাগ। সেখান থেকে দলটিকে আজ দলীয় তিনশ ছাড়াতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন নুরুল হাসান সোহান। তার ব্যাটে দল নির্ভরযোগ্য পুঁজি পেলেও শেষপর্যন্ত আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখতে দেখতে ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়ে যায় তার। ১২৭ বলে  ১০ চার ও ৬ ছক্কায় ৯৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ফলে সতীর্থ ইমরুল কায়েসের মতো এ ইনিংসে নুরুল হাসান সোহানকেও আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে। তার দায়িত্বশীল ইনিংসে ৩০৯ রানে গিয়ে থামে খুলনা।

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর শুরুটা ছিল হতাশার। দলের রানের খাতা খেলার আগেই ওপেনার মিজানুর রহমানকে ইমরুলের হাতে ক্যাচে পরিনত করে সাজঘরে পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ইনিংসেও মাত্র ৪ রান করেন মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়েছিলেন মিজানুর রহমান।

এরপর পেসার আল-আমিন হোসেন ও আবদুর রাজ্জাকের বোলিং তান্ডবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি রাজশাহীর কোনো ব্যাটসম্যান। দলটির হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৭ রান আসে নাজমুল হোসেন শান্তের ব্যাট থেকে। তার সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা মুশফিকুর রহিমকেও ফেরান খুলনার অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক। বাকিদের মধ্যে আর কেউ বড় কোনো ইনিংস খেলতে না পারায় ১৭০ রানে থামে রাজশাহীর দৌড়।

আল-আমিন হোসেন ও আবদুর রাজ্জাক ৪টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। বাকি দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৫ রান তুলতেই ১ উইকেট হারায় খুলনা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শফিউল ইসলামের বলে ব্যক্তিগত ৪ রানে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন এনামুল হক। শেষদিনে সহজ জয় তুলে নিতে সতর্ক ব্যাটিং করতে হবে তাদের।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *