April 26, 2024
আঞ্চলিক

চেম্বারের বিবৃতিতে নগর বিএনপির হতাশা রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি পরিহারের আহবান

 

 

শিল্প ও বন্দর নগরী খুলনার ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি¡ সৎ, যোগ্য, দক্ষ, শিক্ষিত ও দূরদর্শীতাসম্পন্ন ব্যবসায়ীদের দ্বারা পরিচালিত হবে। যারা রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি করবে না এবং চিহ্নিত স্বৈরাচারের দোসর হয়েও জার্সি বদলের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠনের কাঁধে চেপে বসবেনা। খুলনা মহানগর বিএনপি গত ১৩ মে এক বিবৃতির মাধ্যমে এমনটাই আশা প্রকাশ করেছিল। বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনা চেম্বারের কিংবা এর কোন পরিচালকের সমালোচনা করা হয়নি। কিন্ত গতকাল বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিএনপির বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে চেম্বারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া একটি বিবৃতি প্রকাশ আমাদেরকে হতাশ করেছে।

চেম্বারের নামে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে মূলত শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য ছিল পতিত স্বৈরাচারের দোসররা আবারও খুলনা চেশ্বার অব কামর্স দখল করে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছে। নিজেদের পদে রাখার জন্য একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি একনাগাড়ে সভাপতি হতে পারবেনা- গণতন্ত্রের এই ধারা জোড়াতালি দিয়ে সংশোধন করেছে। গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশ সিমেন্ট আমদানী করে না। অথচ শহরের এক বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিনা প্রতিদ্বদ্ধিতায় বারবার নেতৃত্বে আনার স্বার্থে সিমেন্ট আমদানীকারক সমিতির নামে ভ’য়া সংগঠনের কোটায় তাকে নির্বাচিত করছে। ভ্রমণ বিলাসসহ নানা সুযোগ সুবিধা নেয়ার স্বার্থে খুলনা চেম্বারকে এক ব্যক্তির খেয়ালখুশির প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। একথা সত্য যে এই চেম্বার অব কমার্স দখলের প্রতিযোগিতায় পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এক সময় খুলনায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল এবং চাঞ্চল্যকর একাধিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল।

আমাদের বক্তব্য ছিল, খুলনা আওয়ামী লীগের কি কোন ব্যবসায়ী নেতা নেই যে এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারনে শিক্ষা ও মেধা দিয়ে নেতৃত্ব দিতে পারে। খুলনাবাসীর প্রশ্ন, ওই সব জার্সি বদলকারী বিতর্কিত ব্যক্তিদের হাতে কেন থাকবে খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির মতো প্রতিষ্ঠান? আর কোন ব্যক্তি যদি দূর্নীতি করে থাকেন, তবে দায়ভার ব্যক্তিগতভাবে তার।

বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দ খুলনা চেম্বার অব কমার্স, শিশু হাসপাতাল, ডায়াবেটিস সমিতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ এ ধরনের সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা রাজনীতিহীন প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পরিচালকমন্ডলী দাবি করেন। এসকল প্রতিষ্ঠান নিয়ে কেউ যেন ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে না পারে তার জন্য খুলনাবাসীকে সজাগ থাকার আহবান জানান।

বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *