April 27, 2024
আঞ্চলিক

খুলনা-মোংলা রেল লাইনের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে মিথ্য সংবাদ প্রচার

 

 

সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থের দাবি

 

দ: প্রতিবেদক

নির্মানাধীন খুলনা-মোংলা রেল লাইনের অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় ফকিরহাটের জাড়িয়া মাইটকুমড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ইমান আলী শেখের পুত্র মোঃ আজিজুল হক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১০ মে একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় খুলনা-মোংলা রেল লাইনের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রচারিত সংবাদ আমাদের পরিবারের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রচারিত সংবাদটি আমাদের পরিবারের সুনাম ও সম্মান হানী করেছে বলে মনে করি।

তিনি আরও বলেন, ফকিরহাটের জাড়িয়া মাইটকুমড়া মৌজা এলাকায় কয়েক পুরুষ ধরে আমরা বসবাস করে আসছি। আমার পিতা-মোঃ ইমান আলী শেখ তার পিতা মৃত কিয়াম উদ্দিন শেখের ওয়ারিশ সূত্রে ২ একর ৪৫ শতক জমির মালিক। যার বিআরএস খতিয়ানে আমার পিতা মোঃ ইমান আলী শেখের নাম উল্লেখ রয়েছে। এসব জমির খাজনা হাল নাগাদ পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণের জন্য অধিগ্রহন করা হয়েছে ১ একর ৭৪ শতক জমি। আমার পিতা মোঃ ইমান আলী শেখের কাছ থেকে ওয়ারিশ সূত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ আমি, আমার ভাই এবং মৃত ভাইয়ের স্ত্রী স্ব স্ব অংশ মোতাবেক গ্রহণ করি। এ ব্যাপারে একাধিকবার বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরেজমিনে জরিপ ও তদন্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করা হয়নি বা এর কোন সুযোগ ছিল না।

আজিজুল হক বলেন, গত ২৭ এপ্রিল হঠাৎ করে আমাদের বাড়িতে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় একটি টিম আসে। একজন সাংবাদিক খুলনা-মোংলা রেল লাইনের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আমার কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। সেই সাথে আমাদের জমির কাগজপত্র চাইলে সেসব কাগজপত্রও সরবরাহ করি। গত ১০ মে এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার হলে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে যায়। যে তথ্যের ভিত্তিতে এ সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে তার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। সাংবাদিকদের কাছে আমাদের সরবরাহ করা কোন কাগজপত্র ও তথ্য সংবাদটিতে দেখানো হয়নি। আমি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত খুলনা-মোংলা রেল লাইনের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রচারিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার নেপথ্যের কুচক্রী গোষ্ঠি সম্পর্কে বলতে চাই। এ কুচক্রী মহলের মূল হোতা খোরশেদ আলম, ইসরাফিল, ফেরদাউস ও বাবলুজ্জামান গংরা দীর্ঘদিন ধরে আমার নিকট চাঁদা দাবি করে আসছিল। এছাড়া এদের বিরুদ্ধে নারী পাচার ও নাশকতার মামলা রয়েছে। আমি তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় এবং একটি মামলার সাক্ষী হওয়ার কারণে আমার ও পরিবারের সম্মান সুকৌশলে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে এ মহল। তাই এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের দাবি করেন তিনি।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *