৭ রানে জয়ের দিনে বাংলাদেশের তিন রেকর্ড
ব্যাট হাতে লিটন দাসের সময়টা খুব একটা ভালো কাটছে না। শূন্য রানে ফিরেছেন সিরিজের প্রথম ম্যাচেও। আকিল হোসেইনের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন। তবে উইকেটের পেছনে বাংলাদেশের নাম্বার সিক্সটিন বেশ কার্যকর তা প্রমাণিত আরও একবার। উইকেটের পেছন থেকে বোলারদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটা সাফল্যও এনে দিয়েছে। তার সুবাদে রেকর্ডের পাতায় নাম তুলেছেন লিটন নিজেও।
বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক হিসেবে টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের নতুন রেকর্ড গড়েছেন লিটন কুমার দাস। উইন্ডিজের বিপক্ষে আজ ৫ ডিসমিসাল ছিল তার। নিকোলাস পুরানকে করেছেন স্ট্যাম্পিং। ক্যাচ নিয়েছেন রভম্যান পাওয়েল, আন্দ্রে ফ্লেচার, রস্টন চেজ এবং গুদাকেশ মোতির।
লিটন এই কীর্তির পথে পেছনে ফেলেছেন তার নিজেরসহ নুরুল হাসান সোহান এবং মুশফিকুর রহিমের ৩ ডিসমিসালের ৪ রেকর্ড। মুশফিকের ৩ ডিসমিসাল এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সোহানের দুই ডিসমিসাল ছিল ২০২১ বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনি এবং ২০২২ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর লিটন তার ৩ ডিসমিসাল পেয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে।
বোলারদের দিনে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম আঘাত করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। জোড়া শিকারের দিনে রেকর্ড ছুঁয়েছেন তিনিও। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের নতুন কীর্তি এখন তার। ২০২৪ সালে তাসকিন পেয়েছেন ৫৮ উইকেট। ২০১৮ সালে মুস্তাফিজের ছিল ৫৭ উইকেট। ২০০৬ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার ছিল ৫৩ উইকেট।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া শেখ মেহেদি হাসানের কীর্তিটাও জায়গা পেতে পারে এই তালিকায়। মাত্র তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৫ রান ও ৪ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন এই অফস্পিন অলরাউন্ডার। এর আগে মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসানের ছিল এমন কিছু করে দেখানোর নজির। সাকিব অবশ্য এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে দেখিয়েছিলেন ৪বার।